77 বছর বয়সে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন লক্ষ্মণ শেঠ। 42 বছরের কনেকে বিয়ে করেছেন কংগ্রেস তথা প্রাক্তন সিপিআইএম-এর এই নেতা। অনেকে বলছেন বুড়ো বয়সে ভীমরতি। বর্তমান কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করলেন কলকাতার মানসী দে নামে এক মহিলাকে। ভাবতে পাচ্ছেন, রাজ্যে সিপিআইএম-সহ অন্য বিরোধী দল যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখনই কোনও ভোটের ভাবনায় না গিয়ে জীবনের ময়দানে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বিতর্কিত এই রাজনৈতিক নেতা। জানা গিয়েছে মানসী দে কলকাতার ফুলবাগানের বাসিন্দা। ওই মহিলাও একজন কংগ্রেস কর্মী,পাশাপাশি ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে নিয়ম মেনে রিসেপশানও নাকি হবে। যদিও তা কবে হবে, সেই বিষয়ে এখনই খোলসা করে কিছু বলতে চাননি লক্ষ্মণ শেঠ। বিগত কয়েকদিন ধরেই হলদিয়ার আকাশে বাতাসে কান পাতলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে, আবার নাকি বিয়ে করেছেন লক্ষ্মণ শেঠ। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। প্রসঙ্গত, বাম আমলে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু 2009 সালের লোকসভা ভোটে পরাজিত হন তৎকালীন দাপুটে এই সিপিআইএম নেতা। রাজ্যে পালাবদলের পর 2014 সালে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিআইএম। এরপর নিজের একটি দল গঠন করেন তিনি। যদিও পরে নিজের তৈরি দল ছেড়েই বিজেপিতে যোগ দেন লক্ষ্মণ শেঠ। 2018 সালে বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপর 2019 সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। লক্ষ্মণ শেঠের প্রথম স্ত্রী ছিলেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ। 1979 সালে তমালিকার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ১৯৯৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন তমালিকা। সিপিআইএম লক্ষ্মণকে বহিষ্কারের পর দল ছাড়েন তমালিকাও। 2015 সালে স্বামীর তৈরি দলেই যোগ দেন। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে 2016 সালে মৃত্যু হয় তমালিকার। তবে তার এই নতুন ইনিংস নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।