ভারতের আরও একজন শত্রু নিকেশ হল পাকিস্তানে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল লস্কর-ই-তইবার প্রাক্তন কমান্ডার আকরাম খান ওরফে আকরাম গাজি। তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা। ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াত আকরাম। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লস্কর ই তইবাতে জঙ্গি নিয়োগের বিষয়টি দেখাশোনা করেছিল সে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বাজাউরে আকরাম গাজীকে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আকরাম লস্করের শীর্ষ কমান্ডারদের মধ্যে ছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। পাকিস্তানে এই প্রথম সন্ত্রাসীদের টার্গেট করা হয়নি। এর আগে মুফতি কায়সার ফারুক, খালিস্তানি জঙ্গি পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াদ, এজাজ আহমেদ আহাঙ্গার, বশির আহমেদ পিয়ারের মতো অনেক জঙ্গিও অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাসবাদীদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। গত মাসে ভারতের আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী শাহিদ লতিফ পাকিস্তানে নিহত হয়। শিয়ালকোটে অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে লতিফ নিহত হয়। ২০১৬ সালে পাঠান কোট এয়ার ফোর্স স্টেশনে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল লতিফ। সেনা ঘাঁটিতে হামলাকারী চার জঙ্গিকে সে পাকিস্তান থেকে নির্দেশ দিয়েছিল।
এই বছরের শুরুতে ৬ মে খালিস্তান কমান্ডো বাহিনীর প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াদ পাকিস্তানের লাহোরে নিহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে লুকিয়ে ছিল এই খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী। পরমজিৎ পাকিস্তানের লাহোরে কর্মরত ছিল। পাকিস্তানে যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের দেখভাল করত সে। এছাড়াও ভারতে ভিআইপিদের আক্রমণ করার জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহেও যুক্ত ছিল। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে রেডিও পাকিস্তানে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করত। এছাড়াও পরমজিৎ মাদক চোরাচালানেও যুক্ত ছিল। চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিল সে।