খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে সংসদে ভারতকে আক্রমণের পরে এখন সুর নরম করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে কানাডা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত বিশ্বে উদীয়মান শক্তি।
বিশ্বমঞ্চে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে
ট্রুডোর কথায়, 'কানাডা এখনও চায় ভারতের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক রাখতে। বিশ্বমঞ্চে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে। এই শ্রীবৃদ্ধিতে কানাডাও চায় ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলতে। শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করতে চায় কানাডা।'
ভারত শক্তিশালী অর্থনীতি
ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রুডো বলেন, 'ভারতের একটি শক্তিশালী অর্থনীতি ও গ্লোবাল পলিটিক্যাল পাওয়ার। গত বছর আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে যে কৌশল ঠিক করেছি, তাতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখার বিষয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কানাডার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাতে এই (খালিস্তানি জঙ্গি) বিষয়ে একে অপরকে সব রকমের আইনি তথ্য দেওয়া হয়, সে বিষয়েও ভারতকে সুনিশ্চিত করতে হবে।'
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রসঙ্গে গত রবিবার কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা বুঝতে পারছি যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে এটা একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।' এর পরই তাঁর সংযোজন, 'কিন্তু দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা আমরা তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করব।'
খালিস্তানি জঙ্গি নেতার হত্যা থেকে সংঘাত শুরু
জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন খলিস্তান টাইগার ফোর্স-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত, এমনটা মনে করার ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে বলে সোমবার দাবি করেন ট্রুডো। এই দাবিকে অবাস্তব এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত।
এরপর থেকেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করে দেয় ভারত।