ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক জঙ্গি খতম। পাকিস্তানের শিয়ালকোটে গুলি করে খুন করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদী শাহিদ লতিফকে। অজানা আততায়ীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। পাঠানকোটে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল এই শাহিদ লতিফ। তার বিরুদ্ধে ভারতে ইউএপিএ আইনে মামলা ছিল।
পাঠানকোট হামলা কবে হয়েছিল?
২০১৬ সালে পঞ্জাবের পাঠানকোটে অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। এই হামলাটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ করেছিল। এই হামলায় সাত সেনা জওয়ান শহিদ হন। পাঠানকোট এয়ারফোর্স স্টেশন আমাদের পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এই এয়ারফোর্স স্টেশনটি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এটি মিগ-২১ ফাইটার প্লেনের বেস স্টেশন।
লতিফের আগেও পাকিস্তানে বহু জঙ্গি নিহত হয়েছে
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে ইমতিয়াজ বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে ইমতিয়াজ আলম পাকিস্তানে এক অজানা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। রাওয়ালপিন্ডিতে তাকে গুলি করে মারা হয়। গত বছরই ভারত সরকার তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে বসে সে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদীদের রসদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করত। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার বাসিন্দা ছিল বশির।
এরপরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইজাজ আহমেদ আহাঙ্গার নামে এক জঙ্গিকে আফগানিস্তানের কাবুলে হত্যা করা হয়েছিল। ইজাজ ভারতে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-র শাখা পুনরায় চালু করতে চাইছিল। ১৯৯৬ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সে পাকিস্তানে পালিয়ে যায় এবং তারপর সেখান থেকে আফগানিস্তানে যায়। আহাঙ্গারের সঙ্গে আল-কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আহাঙ্গারের মৃত্যুর ঠিক চারদিন পরে সৈয়দ খালিদ রাজা সাবেক আলবদর কমান্ডার সৈয়দ খালিদ রাজাকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়। আল বদর একটি ধর্মান্ধ সংগঠন, যারা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ দিত। সৈয়দ খালিদ রাজাকে করাচিতে তার বাড়ির বাইরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে।
পরের মাসে ভারতের ওয়ান্টেডের তালিকায় থাকা সৈয়দ নূর শালোবারকে খুন করা হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে খুন করে। শালোবর পাকিস্তানি সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সহযোগিতায় কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়াত এবং নতুন সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিত। গত মাসেই জঙ্গি মহম্মদ রিয়াজকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে রাওয়ালকোটের একটি মসজিদে খুন করা হয়েছিল। মহম্মদ রিয়াজ আবু কাসিম কাশ্মীরি নামেও পরিচিত ছিল।