ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অবশেষে থামল। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে একমত হয়েছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। ইজরায়েলের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরক্ষা বাহিনীকে চিঠি দিয়ে ১১ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে বিরতির অনুমতি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু।
আরও পড়ুন: ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে এবার সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠে এল লিওনেল মেসির নাম
প্যালেস্তাইনের সঙ্গে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে নেতানইয়াহু সরকারের উপরে আমেরিকার চাপ প্রবল ভাবে বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টো থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
তার আগে বুধবার সেনা হেডকোয়ার্টার্সে গিয়েছিলেন নেতাইয়াহু। তারপরে তিনি বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাহায্যে আমরা আপ্লুত। কিন্তু ইজরায়েলের মানুষকে শান্তি ও সুরক্ষার জন্য অভিযান জারি থাকবে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, যে কোনও উপায়ে গাজা ভূখণ্ডে হিংসা বন্ধ করাই আমেরিকার লক্ষ্য।
যদিও ইজরায়েলি আধিকারিকরা আন্তর্জাতিক চাপের কথা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সীমান্তে হিংসা ছড়ানোয় সাফল্য পেয়েছে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে। গাজার পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে।
ইজরায়েলের দাবি, গত ১১ দিনে প্যালেস্তাইনের দিক থেকে ৪৩০০-র বেশি রকেট উড়ে এসেছে ইজরায়েলের দিকে। এই হামলায় ১২ জন ইজরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে ইজরায়েলের পালটা জবাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩২ জন প্যালেস্তিনীয়। মৃতদের মধ্যে ৬৫ জন শিশু। এছাড়া ইজরায়েলি হানায় জখম হয়েছেন অন্তত ১৯০০ জন।
স্থানীয় সময় রাত ২টোয় সময় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছিল হামাস। যদিও ইজরায়েল সরকারি ভাবে কোনও সময় জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের উপর শেষ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। ইজরায়েলের সুরক্ষা বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, এদিনও হামাসের তরফে ৩০০টি রকেট উড়ে এসেছে ইজরায়েলের দিকে। এর জবাবে ৩০টি রকেট ছুড়েছে ইজরায়েলও।