মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে আসতে পারে অনাস্থা প্রসাব। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত বিরোধী অবস্থান নেওয়া ও চিনপন্থী হওয়ার জন্য পরিচিত তিনি। তবে এবার মহম্মদ মুইজ্জু নিজেই বড় সমস্যায় পড়েছেন। মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) মুইজ্জুর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে। মুইজ্জু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে এমডিপি ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সংখ্যক সাংসদদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। শীঘ্রই মুইজ্জুর বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার মালদ্বীপের পার্লামেন্টে তুমুল নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন সাংসদদের মধ্যে বচসা তুঙ্গে ওঠে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। পার্লামেন্টের মধ্যে এমপি-দের মারপিটের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপ প্রগ্রেসিভ পার্টি (পিপিএম) নিয়ে গঠিত ক্ষমতাসীন জোটের এমপিরা বিরোধী এমপিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সাংসদদের মারামারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে সংসদ সদস্যদের স্পিকারের চেয়ারের কাছে মারামারি করতে দেখা যাচ্ছে। কান্দিথিমুর সাংসদ আবদুল্লাহ হাকিম শাহীম ও কেন্দিকুলহুধুর সাংসদ আহমেদ ঈসার মধ্যে তুমুল ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর দুই সাংসদই চেম্বারের কাছে উল্টে পড়ে যান। পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান শাহীম।
জানা গিয়েছে, ভোটের আগে মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার এমপির সংসদীয় অনুমোদন রোধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এমডিপি। এর পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে সরকারের সমর্থক সংসদ সদস্যরা। এর জেরে তুমুল হই হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মালদ্বীপের সংবাদ ওয়েবসাইট Sun.mv তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন পিপিএম- পিএনসি জোট পার্লামেন্টের স্পিকার মহাম্মদ আসলাম এবং ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছে।
প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনের প্রচার করার সময় থেকেই ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 'ইন্ডিয়া আউট' এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারতকে মালদ্বীপ থেকে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার করতে বলেন। সম্প্রতি, মুইজ্জু সরকার ১৫ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে আল্টিমেটাম দিয়েছে।