Kim Jong-Putin Meeting: উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন তার বিশেষ ট্রেন সফরে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে তিনি দেখা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়ার শহর ভ্লাদিভোস্টক পরিদর্শন করবেন। করোনা মহামারীর পর এটাই হবে কিম জংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। অর্থাৎ, চার বছর পর প্রথম বিদেশ সফরে রওনা হয়েছেন কিম জং উন।
মার্কিন কূটনীতিজ্ঞদের মতে, এ সফরে কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহ এবং ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে কথা বলতে পারেন। দুই রাষ্ট্রনেতা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবেন। মার্কিন কূটনীতিজ্ঞদের অনুমান, কিম জং উন তাঁর এই সফরে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফ্লিটের নেভাল বেস পিয়ার ৩৩ পরিদর্শন করতে পারেন।
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম বেশিরভাগ ট্রেনেই ভ্রমণ করেন। যে ট্রেনে চড়ে তিনি রাশিয়া পৌঁছাবেন, সেটি স্ট্যালিন ১৯৪৯ সালে কিমের দাদা কিম ইল সুংকে উপহার দিয়েছিলেন। কিম যখনই উত্তর কোরিয়া পরিদর্শনে যান বা চিনে যান, তখনই তাঁর গোটা দলটিও এই ট্রেনেই তাঁর সঙ্গে যায়।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে আর্টিলারি শেল এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল চায়। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে স্যাটেলাইট সাপোর্ট আর পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি চাইবে।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া অস্ত্র চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এমনটাই দাবি করেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন। এবারও উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করা হচ্ছে। এর জন্য ক্রমাগত চিন ও উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে আমেরিকা।
তবে অস্ত্র এছাড়া কিম জং উন তার দেশের জন্য খাদ্য সহায়তাও চাইবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, উত্তর কোরিয়ায় শস্যের তীব্র ঘাটতি রয়েছে, যেখানে রাশিয়া ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শস্য উৎপাদনের রেকর্ড স্থাপন করেছে। বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০-এর ওই দশকে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এরপর থেকেই সেখানে চরম খাদ্য সংকট চলছে। খারাপ আবহাওয়া এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে এই পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। তাই খাদ্য সংকটের মোকাবিলায় রাশিয়ার সাহায্য চাইতে পারে উত্তর কোরিয়া বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।