scorecardresearch
 

Bangladesh Violence: বাংলাদেশে কত প্রভাব পড়তে পারে হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে?

বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হয় আওয়ামি লিগের 'ভোট ব্যাঙ্ক'। ঘটনাও তাই। কিন্তু দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে হাসিনা সরকারের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে তাদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে পারে, ইতিমধ্যে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আওয়ামি লিগের অন্দরে।

Advertisement
 হিন্দুদের ওপর হামলায় সিঁদুরে মেঘ আওয়ামি লিগেরও হিন্দুদের ওপর হামলায় সিঁদুরে মেঘ আওয়ামি লিগেরও
হাইলাইটস
  • হিন্দুদের ওপর হামলায় সিঁদুরে মেঘ আওয়ামি লিগেরও
  • গত ১২ বছর ধরে সেখানে সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনা
  • তবে এভাবে সংখ্যালঘু নি৪যাতন চললে আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে

বাংলাদেশের ইতিহাসে একটানা সর্বোচ্চ সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ। ২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত টানা ১২ বছরের বেশি সরকার চালাচ্ছেন হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোন দল এতো সময় ধরে একটানা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। পাশাপাশি স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ সময় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের এই জয়জয়কারের পেছনে কিন্তু অবদান রয়েছে সেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়েরও। বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হয় আওয়ামি লিগের 'ভোট ব্যাঙ্ক'। ঘটনাও তাই। কিন্তু দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে হাসিনা সরকারের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে তাদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে পারে, ইতিমধ্যে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আওয়ামি লিগের অন্দরে।

 বিশ্বে মুখ পুড়েছে শেখ হাসিনা সরকারের
বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় হিংসা এবং হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় গোটা বিশ্বে মুখ পুড়েছে শেখ হাসিনা সরকারের।  দুর্গাপুজো মণ্ডপ এবং মন্দিরে তাণ্ডবের ঘটনায় কেবল ভারত নয় নিন্দা করেছে আমেরিকাও। কোনওরকম ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে সরাসরি বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসা চলেছে।  মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তার নিন্দা করছি আমরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। প্রশাসনকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানানো হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা হল মানবাধিকার।’ সেই ট্যুইটের কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন দফতরের তরফে ট্যুইটারে বলা হয়, 'বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর ভয়ঙ্কর হামলায় আতঙ্কিত আমরা। কোনওরকম হিংসা বা ভয় ছাড়াই হিন্দু-সহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অবাধে উপাসনা করার অধিকার রয়েছে।' বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।

Advertisement

ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার
কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর অষ্টমীর রাতে মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। এদিকে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে  কোরান শরিফ রাখা ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম ইকবাল হোসেন (৩৫) বলে জানা যাচ্ছে। বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা  সুজানগর এলাকায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানা যাচ্ছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কুমিল্লা পুলিশ সূত্র জানা যাচ্ছে, গত বুধবারের ঘটনার পর গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পরিস্থিতি সামলদিতে মরিয়া বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশের একাধিক জেলায় হিংসা-অশান্তি, দুষ্কৃতী তাণ্ডব রুখতে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ করেছে সেদেশের সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই সাফ জানিয়েছেন, এসব একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে তাঁর সাফ নির্দেশ, প্রত্যেকটি ঘটনায় যুক্তদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।  মন্ত্রিসভার বৈঠকেও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই নির্দেশ দেন তিনি। এখনও পর্যন্ত হিংসা, হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় ৭০-এর বেশি মামলা দায়ের হয়েছে।  পুলিশ ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সজাগ থেকে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। হাসিনার দল আওয়ামি লিগও দেশব্যাপী শান্তি, সম্প্রীতি মিছিল বের করেছে। শেখ হাসিনার সরকার সংখ্যালঘুদের বন্ধু বলে দাবি করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবেইদুল কায়দার। 

 

২০২৩ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন
২০২৩ সালে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। অর্থাৎ হাতে মাত্র দু'বছর।  ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, ভোলা, কুমিল্লার মুরাদনগর, সুনামগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় গত এক যুগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একাধিক  হামলা হয়েছে। আর তাতে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে আওয়ামি লিগের। এবারে  দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে চর্চায় রয়েছে। যা বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টিতেও সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। 

আওয়ামি লিগের একাংশের দিকে উঠছে অভিযোগ
কুমিল্লা থেকে বান্দরবানের লামা, নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে রংপুরের পীরগঞ্জ। বাংলাদেশজুড়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলার ঘটনায় শাসকদল আওয়ামি লিগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শাসকদল আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা যতই নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করুন না কেন, দলের নীচুতলার নেতা-কর্মীদের একাংশ যে হিন্দুদের উপরে নির্যাতন ও হামলায় সরাসরি জড়িত, তা প্রকাশ্যে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায়।  সম্প্রতি ইউনিয়ন নির্বাচনের জন্য আওয়ামি লিগ থেকে এমন দু'জনকে সেখানে প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল  যারা হিন্দুদের উপরে আক্রমণের মামলার আসামি ছিলেন।

আরও পড়ুন:কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে কে কোরান রেখেছিল? CCTV ফুটেজ

হিন্দুরা আওয়ামি লিগের 'ভোট ব্যাঙ্ক', কিন্তু প্রাপ্তি কি?
বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হয় আওয়ামি লিগের 'ভোট ব্যাঙ্ক'। ঘটনাও তাই। হিন্দুরা  এখনও পর্যন্ত আওয়ামি লিগের 'ভোট ব্যাঙ্ক'-ই ছিলো এবং আছে। এর অবশ্য কারণও আছে। উপায় কি, অন্য কাকে ভোট দেবে?  আওয়ামি লিগকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে  হলে ১০০% হিন্দু ভোট চাই। বিএনপি যদি ৫-১০% শতাংশ হিন্দু ভোট নিতে পারে, তবে ফলাফল উল্টে যেতে বাধ্য।

Advertisement

আরও পড়ুন:'এখানে জন্মেছি, দেশ ছেড়ে যাব কেন?' হিংসা-ধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রশ্ন চঞ্চলের

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ধর্মান্ধ, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল  অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। চলতি বছর ১৭ মার্চ  শুরু হয়েছিল  মুজিববর্ষ এবং  বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের অনুষ্ঠান। দিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিনও। ওই দিনই সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকীয় তান্ডব ঘটানো হয়। হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে চালানো হলো সন্ত্রাসী হামলা। লুটপাট করা হলো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ওই দিন অন্তত ৮৮ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অজুহাতে এ তান্ডব চালানো হয়।  বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে  মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালন বেড়েছে। কথায় কথায় তারা হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সরকার গত এক যুগ ধরে ক্ষমতায়। সংসদে এবং রাজনীতিতে আওয়ামি লিগ প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামি লিগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক চাপও  নেই। জনগণের মধ্যেও এ সরকার নিয়ে বড় ধরনের অস্বস্তি নেই। কিন্তু দপর্গাপুজোর পর ঘটনাপ্রবাহ বদলে দিয়েছে গোটা চিত্র।

আরও পড়ুন: 'কোনও ধর্ম প্রতিহিংসা শেখায় না,' মাশরাফি থেকে মিম

আওয়ামি লিগের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ
আওয়ামি লিগ গত এক যুগ টানা ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ে হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর থেমে থেমে মৌলবাদী শক্তির আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধপল্লীর বসতবাড়ি। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়ার হিন্দুপল্লী বনগ্রাম আক্রান্ত হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আক্রমণ করা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘসীতারামপুরে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আক্রমণ। কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, কখনো রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়ায়, কখনো ভোলার বোরহানউদ্দিনে, কখনো কুমিল্লার কোরবানপুর গ্রামে। এ হামলা, আক্রমণ ও বর্বরতা একই ধরনের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তান্ডব চালানো হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি, সেই অভিযোগ তুলছে সেদেশের হিন্দু সংগঠনগুলি।  মার্কিন হিন্দু সুরক্ষা সংগঠন হিন্দুপ্যাক্টের ডিরেক্টর উৎসব চক্রবর্তী বলেছেন, “এটা অত্যন্ত আতঙ্কের যে নোয়াখালির শেষ কিছু থেকে যাওয়া হিন্দুদের উপর এইভাবে হামলা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “এই নোয়াখালিতেই ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানপন্থী ইসলামি মৌলবাদীরা ১২ হাজার হিন্দুকে খুন করে এবং ৫০ হাজারেরও বেশি হিন্দুকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে। পাকিস্তান জন্ম নেওয়ার ৭৫ বছর পরেও সেই দৃশ্য ফিরে এল।” এর থেকে নারকীয় আর কিছু নেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে চারের দশকে যেখানে ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিল, তা এখন নেমে এসেছে মাত্র ৯ শতাংশে। হিন্দুপ্যাক্ট জানিয়েছে, স্বদেশি হিন্দুদের বার বার বাংলাদেশে টার্গেট করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ৫০ বছরে ২৮ লক্ষ হিন্দুকে খুন করা হয়েছে, ১ কোটি হিন্দুকে ঘরছাড়া করে শরণার্থী হতে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানি সেনা। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। এবার এই সাম্প্রদায়িক হামলার সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজোকে।  এবারই সম্ভবত একসঙ্গে এত জেলায়  সাম্প্রদায়িক হামলা শুরু হয়। এই আবহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আওয়ামি লিগ পাল্টা তির ছুড়ছে বিএনপির দিকে। বলাইবাহুল্য দু'বছর পর সাধারণ নির্বাচনে হিন্দু ভোট কী করবে সেদিকে অনেক কিছুই নির্ভর করবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের। 

Advertisement

 

Advertisement