দ্বাদশ শ্রেণির এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশের নামজাদা ব্যবসায়ী এমডি সায়েম সোবহান আনভির বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। সোমবার ঢাকার গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরেই গুলশন থানায় মামলা দায়ের হয়।
জানা গিয়েছে, গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত তরুণী ঢাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। মাস দুয়েক আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন ওই তরুণী। ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া মাসে ১ লক্ষ টাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঠিক কী কারণে তরুণী আত্মহত্যা করলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগে জানান হয়েছে, দুই বছর আগে অভিযুক্ত সায়েম সোবহান আনভিরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। ধীরে ধীরে পরিচয় গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। আনভির ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে ২ বছরের অধিক সময় বসবাস করেন। একসময় তরুণীকে বিয়ে করে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করারও আশ্বাস দেন।
কিন্তু গত ২৩ এপ্রিল আনভির ওই তরুণীকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিজের বোনকে জানান ওই তরুণী। এরপরেই কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই তরুণীর বোন ও আরও কয়েকজন আত্মীয়। পথে বেশকয়েকবার ওই তরুণীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এরপর ফ্ল্যাটে পৌঁছে ডাকাডাকি করা হলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া আসেনি। যার জেরে নিরাপত্তারক্ষীর ঘর থেকে ফ্ল্যাটের ইন্টারকমে ফোন করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ফ্ল্যাটের মালিককে জানানো হলে তিনি তালা ভেঙে ঢোকার পরামর্শ দেন। এরপর তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই তরুণীকে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।