Independence Day 2022: স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্নি টেলিভিশন চ্যানেলে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক সিনেমা দেখান হবে। বলিউডের সঙ্গে দেশপ্রেমের সম্পর্ক খুব পুরনো। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দুর্দান্ত গল্প এবং ভারতকে একটি স্বাধীন জাতি হিসাবে গড়ে তোলার জন্য তাদের সংগ্রাম দেখানো হিন্দি চলচ্চিত্রে এমন সিনেমার তালিকা বেশ দীর্ঘ। স্বাধীনতা দিবসের শুভ দিনে, আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্র যা প্রত্যেকের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
বর্ডার (১৯৯৭)
এই মাল্টি-স্টারার ওয়ার ড্রামা ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিস্থিতিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। সেই সময়ের সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটি, মূলত লংয়েওয়ালার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেঠি, অক্ষয় খান্না, টাবুর পারফরম্যান্স এবং হৃদয়-ছুঁয়ে যাওয়া গানগুলির সাথে আবেগঘন গল্প পরিবেশন করে।
সরফারোশ (১৯৯)
আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে বন্ধ করতে একজন ভারতীয় অফিসারের নিরলস প্রচেষ্টা এই চলচ্চিত্রকে আজকের জন্য প্রাসঙ্গিক করে তোলে। হান ম্যাথিউ ম্যাথেন দ্বারা পরিচালিত, ছবিটি গবেষণা, চিত্রগ্রহণ এবং পোস্ট-প্রোডাকশন পর্যায়গুলি সম্পূর্ণ করতে পুরো সাত বছর সময় নেয়। আমির খান, সোনালি বেন্দ্রে এবং নাসিরুদ্দিন শাহের অভিনয় গল্পটিকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।
দ্য লিজেন্ড অফ ভগত সিং (২০০২)
রাজকুমার সন্তোষী স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং-এর জীবন এবং তাঁর মতাদর্শকে বড় পর্দায় জীবিত করেছেন। অভিনেতা অজয় দেবগন ভগৎ সিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, সুশান্ত সিংকে সুখদেব থাপারের ভূমিকায় এবং ডি. সন্তোষকে শিবরাম রাজগুরুর ভূমিকায় দেখা গেছে। ছবিটি দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে।
এল.ও.সি কার্গিল (২০০৩)
এই ঐতিহাসিক ওয়ার ড্রামাটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত কার্গিল যুদ্ধকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। সঞ্জয় দত্ত, সাইফ আলি খান, রানি মুখোপাধ্যায়, অজয় দেবগন, সুনীল শেট্টি সহ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় নাম চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলিকে প্রাণবন্ত করেছেন।
লক্ষ্য (২০০৪)
এই গল্পটি এমন একটি ছেলেকে নিয়ে যে একজন সেনা অফিসার হয়ে তার বাবা-মা এবং বান্ধবীর সামনে নিজেকে প্রমাণ করে।পরে, এলওসি যুদ্ধের সময় তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। ছবিতে অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন ও প্রীতি জিনটা এবং পরিচালনা করেছেন ফারহান আখতার।
রং দে বাসন্তী (২০০৬)
রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার 'রং দে বাসন্তী' এমন একটি চলচ্চিত্র যা ভারতের সামাজিক সমস্যা এবং জনসাধারণ কীভাবে তাদের মোকাবেলা করতে পারে তা নিয়ে কথা বলে। চলচ্চিত্রটি স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এবং তার সঙ্গীদের উদাহরণ দেয় যারা সাধারণের মধ্যে থেকে অসামান্য হয়ে উঠেছিলেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে মুক্তি পায় এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বোর্ডের প্রশংসা পায়।
রাজি (২০১৮)
এই স্পাই থ্রিলার ফিল্মটিতে আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার জন্য ইকবালকে (ভিকি) বিয়ে করার পর সেহমত (আলিয়া) পাকিস্তানে যায়। এই প্রক্রিয়ায় তার দ্বারা করা তথ্য এবং ত্যাগকে সামনে আনার জন্য সেহমতের দৃঢ় সংকল্প এই ছবিটিকে অসামান্য করে তোলে।
উরি দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (২০১৯)
২০১৯ রিলিজ ভারতের পুলওয়ামা হামলার পর ঐতিহাসিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মুহূর্তগুলিকে জীবন্ত করে। ভিকি কৌশল, মোহিত রায়না, পরেশ রাওয়াল এবং ইয়ামি গৌতম চরিত্রগুলোর প্রতি সুবিচার করেছেন। প্রত্যেক ভারতীয়র একবার হলেও এই মুভিটি দেখা উচিত।
গুঞ্জন সাক্সেনা (২০২০)
যদিও বলিউড বেশ কয়েক বছর আগে 'LOC: কার্গিল'-এর সাথে ভারতের কার্গিল যুদ্ধের উপর একটি চলচ্চিত্র উপস্থাপন করেছিল, তবে ভারতের প্রথম মহিলা যুদ্ধ বিমান চালক গুঞ্জন সাক্সেনার গল্প এই স্টোরিতে দেখান হয়েছে। জাহ্নবী কাপুর অভিনীত 'কারগিল গার্ল' ছবিটি সাক্সেনার সাহসী ভূমিকার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
তানা জি (২০২০)
অজয় দেবগনের চলচ্চিত্রটি মারাঠা যোদ্ধা তানাজি মালুসারের জীবনকে সুন্দরভাবে তুল ধরেছে।
শেরশাহ (২০২১)
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, কিয়ারা আডভানি অভিনীত শেরশাহ দর্শকদের পছন্দ এবং মুগ্ধ করেছে। কার্গিল যুদ্ধের পেছনের ঘটনা ও অনুভূতি নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ছবিটি। জীবনীভিত্তিক অ্যাকশন ড্রামা ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা এবং ডিম্পল চিমার গল্প অবলম্বনে তৈরি।