বেলাগাম করোনা। দৈনিক মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ল এই মারণ ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া আজকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১৭৬১ জনের। যা একদিনের মৃত্যুর নিরিখে সর্বোচ্চ। তবে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। সোমবার সংক্রমিতের সংখ্য়া এর থেকে প্রায় ১৪ হাজার বেশি ছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই নিয়ে দেশে করোনার জেরে মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মারা গিয়েছেন ৩৫১ জন। ছত্তিশগড়ে ১৭৫। দিল্লিতে মারা গিয়েছেন ২৪০ জন। সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষেরও বেশি। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৭৭ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় এটা একটা রেকর্ড। .
প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এবার থেকে ১৮ বছর বয়স হলেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। ১ মে থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। খোলা বাজারে ৫০% ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও ইতিমধ্যেই টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৭১ লাখ ২৮ হাজার ১১৩ জন।
গত মার্চ মাস থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এপ্রিল মাস থেকে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। রাজনৈতিক সভা সমাবেশ, ধর্মীয় জমায়েত ইত্যাদি কারণে সংক্রমণ আরও বাড়তে শুরু করে বলে দাবি করেন চিকিৎসকদের একাংশ। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয় যে, রাজস্থান ও দিল্লি সরকার লকডাউন জারি করে। এছাড়াও নাইট কার্ফু চালু হয়েছে একাধিক রাজ্যে।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের ভোটপ্রচারে প্রভাব পড়েছে। রাহুল গান্ধি রাজ্যে সব সভা স্থগিত করেছেন। তৃণমূলের তরফেও সূচিতে কাটছাঁট করা হয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় ৫০ জনের বেশি থাকবে না। কিন্তুু, করোনার আবহে ৫০০ জনেরও একসাথে থাকা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।