২০২০ সালেও এমনই হয়েছিল। কমতে শুরু করেছিল একটা সময়ে পরে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Coronavirus Second Wave) এখন যেমন দশা। কমছে রোজ। আক্রান্ত, মৃত্যু। মোদ্দা বিষয়, গ্রাফ নিম্নগামী। অতএব আর চিন্তা নেই। তাই তো? কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আমরা কি সত্যিই বিপদ মুক্ত?
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে থামবে COVID সেকেন্ড ওয়েভ, ৬ মাসের মধ্যে থার্ড ওয়েভ: কেন্দ্রের প্যানেল
আরও পড়ুন: COVID-19 সেকেন্ড ওয়েভে কেন ভয়াবহ অবস্থা হল গ্রাম বাংলায়?
অনেক রাজ্যেই আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। মানুষ আবার আগের জীবনযাত্রায় ফিরছে ধীরে ধীরে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, কেউ এখনও বিপদমুক্ত নয়। এখনই ঢিলে দিলেই আবার আক্রমণ করবে মারণ ভাইরাস (COVID-19 Third Wave)। Covid-19 টাস্কফোর্সের বক্তব্য, নতুন করে আক্রান্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরাল।
কতদিন এই ঝুঁকি থাকবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি ২০২১ সালের জুন মাস থেকে ডিসেম্বর কিংবা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত থাকবে। কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিত্সক শ্রীবাস্তবের কথায়, 'এই সময়কালটিতে দরকার প্রস্তুত থাকার সব রকমের ব্যবস্থা করে নেওয়া। গত ৪ সপ্তাহে সপ্তাহে মুম্বই সহ বিভিন্ন রাজ্য যতটা সংক্রমণ কমেছে, তার একমাত্র কারণ করোনা বিধি মানা ও মাস্ক পরা। যদি এই রকম বিধি মেনে চলা যায়, তা হলে করোনামুক্ত হয়ে যাওয়াও কঠিন নয়। এতদিন যে ভাবে নিয়ম মেনে এসেছে, মানুষকে এখনও সেই নিয়ম মানতে হবে।'
পিডি হিন্দুজা হাসপাতালের ডাক্তার ল্যান্সলট পিন্টো অবশ্য জোর দিচ্ছেন দ্রুত টিকাকরণের উপরে। তাঁর বক্তব্য, যতক্ষণ না দেশের একটা বড় অংশের টিকাকরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ বিপদ থেকেই যাচ্ছে। তাঁর কথায়, করোনার ঢেউ কতটা মারাত্মক হতে পারে, তার অভিজ্ঞতা হয়েছে দেশের। তাই দ্রুত টিকাকরণ খুব জরুরি। বিশেষ করে হটস্পটগুলিতে যতটা সম্ভব মানুষকে টিকা দিয়ে দেওয়া দরকার। যাতে করে পরের ঢেউ না আসে।
ইতিমধ্যেই তৃতীয় ওয়েভ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ঢেলে সাজানো হচ্ছে শিশুদের করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো। ৩ মাস থেকে ১২ বছর বয়সিদের জন্য তৈরি করা হবে ১০,০০০ কোভিড বেড। রাজ্যের কোভিড হাসপাতালে এই বেড তৈরি করা হবে। সদ্যোজাত থেকে ৩ মাস বয়সিদের করোনা চিকিৎসায় রাখা হচ্ছে ৩৫০টি এসএনসিইউ। শিশুদের করোনা চিকিৎসার জন্য রাখা হচ্ছে ১,৩০০টি পিআইসিইউ।