এবার ভুয়ো ফুড ইন্সপেক্টর (Fake KMC Food Inspector)! কলকাতা পুরসভার ভুয়ো অধিকারিক সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ভবানীপুর (Bhabanipur) থানার পুলিশ। তার নাম স্বপন সমাদ্দার। ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স আছে কিনা, বিভিন্ন জায়গায় তা দেখছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালীঘাট থানা এলাকার এক বাসিন্দা নিজেকে ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার ভবানীপুর (Bhabanipur)-এর যদুবাবুর বাজারে গিয়েছিল অভিযান চালাতে। তবে তখন সেখানকার ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয়। আর বাজারের বিক্রেতারা পুলিশকে খবর দেন।
এরপর ভবানীপুর থানার পুলিশ বাহিনী এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় পরে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে কলকাতা পুরসভার ভুয়ো স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, দিন কয়েক আগে ধরা পড়েছিল ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। টিকা-প্রতারক দেবাঞ্জন দেব জেনেটিক্স নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। তবে লেখাপড়া শেষ করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের কাছে।
পুলিশি জেরায় আরও বেশ কিছু জিনিস জানা গিয়েছে। ইতিমধ্য়ে নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা পুর কমিশনারের ওএসডি সেই অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকি হাউজ থেকে লেখাপড়া করেছে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দাস। জুলজি নিয়ে চারুচন্দ্র কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছে। এরপর ভর্তি হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, জেনেটিক্স নিয়ে পড়ার জন্য।
তবে তা সম্পূর্ণ করা হয়নি। তবে লেখাপড়া ছাড়েনি সে। এরপর ভর্তি হয় বিদ্যাসাগর কলেজে। দূরশিক্ষা মাধ্যমে সেখানে পড়াশোনা করে সে। তারপর যোগ বিনোদন জগতে।
সে সময় মিউজিক অ্যালবাম, তথ্যচিত্র তৈরির কাজে নেমেছিল। পুলিশকে সে এমনই কথা জানিয়েছে। 'মনপাখি', 'বয়েলড চাইল্ডহুড' নামে কিছু প্রকল্পের কথা জানিয়েছে সে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু সময় মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করেছিল বলে পুলিশি সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে আরও জানা গিয়েছে। করোনা সংক্রমণের সময় সে মাস্ক, হ্য়ান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই কিটের ব্য়বসা শুরু করে। মেহতা বিল্ডিংয়ে এবং বাগড়ি মার্কেট থেকে পাইকারি দরে জিনিসপত্র কিনত।