রক্ত চন্দনকাঠ পাচার চক্রের বড় কারবার ফাঁস হল এসএসবি ও বনদফতরের যৌথ অভিযানে। ভারত-ভুটান আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ফের সক্রিয় রক্তচন্দন কাঠের অবৈধ পাচার চক্র। ভুটানে পাচারের আগেই রক্তচন্দন কাঠ সহ গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত। শনিবার রাতে জেলার ভারত-ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বীরপাড়া থেকে উদ্ধার ৫ কুইন্টাল রক্ত চন্দন কাঠ।
আরও পড়ুন, এবার CBI-ED জোড়া ফলা! কয়লা পাচার তদন্তে আজ রাজ্যে 'বৃহত্তম' তল্লাশি অভিযান চলছে ED-র
রক্তচন্দন কাঠ পাচারের ঘটনায় এস,এস,বি এবং বনদফতর এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার গভীর রাতে বীরপাড়ার ৫ নং লাইনে অভিযান চালিয়ে এই রক্তচন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের মোরাঘাট রেঞ্জ, দলগাঁও রেঞ্জ ও এসএসবির জওয়ানরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই রক্তচন্দন কাঠ উদ্ধার করে।
ঠিক কী ঘটনা
বনদফতর জানিয়েছে চন্দনকাঠ পাচারে অভিযুক্তের নাম অমিত বারা। তাকে বীরপাড়া ৫ নং লাইন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে অমিতের বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে এই রক্তচন্দন কাঠ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। বনদফতরের মোরাঘাটের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অমিতের কাছে আরও চন্দন কাঠ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্ন্তজাতিক ও আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের যোগাযোগের সুত্র খতিয়ে দেখছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ইতিপূর্বে ভারত-ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বীরপাড়া সহ একাধিক এলাকায় এর আগে চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
৫ বছর পরে ফের সক্রিয়
বছর পাঁচেক আগে পঙ্কজ থাপা বীরপাড়া থানার ওসি থাকাকালীন দুই দফায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। ভারত-ভুটান সীমান্তের বীড়পাড়াকে কড়িডোর করেই দীর্ঘদিন ধরে ভুটানে পাচার করা হতো এই চন্দনকাঠ। আলিপুরদুয়ার জেলায় চন্দন কাঠের পাচারচক্রের একটি শেকড় যে বীরপাড়া থানার ওই এলাকায় এখনও রয়েছে শনিবার ফের তা প্রকাশ্যে এল। যদিও কয়েক বছর বাদে ফের রক্তচন্দন কাঠের অবৈধ পাচারকান্ড সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও বনদফতর। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভারত-ভুটান সীমান্তের এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাচারকান্ডের মুল পান্ডার নাগাল পেতে ধৃতকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বনদফতর এবং জেলা প্রশাসন।