শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পলিগ্রাফের পর তার পর নারকো টেস্ট করা হয় তাঁর। প্রতিবারই সে চালাকি করে উতরে গয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে তার কাছ থেকে নতুন কোনও তথ্য জানতে পারেনি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে শান্তই থাকে। তার মুখে দুশ্চিন্তার চিহ্নমাত্র থাকে না।
তার শখ নিয়ে বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে,দাবা খেলতে ভাল লাগে আফতাবের। তিহার জেল সূত্রের খবর, আফতাবকে ব্যারাক-৪ নম্বরে রাখা হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাবা খেলে সে। একাই দাবার বোর্ডে ঘুঁটির চাল দেয়।
গত ১ ডিসেম্বর আফতাবের নারকো টেস্ট করা হলেও নতুন কোনও তথ্য হাতে আসেনি পুলিশের। নারকো টেস্টে সে নতুন কিছু বলেনি। পুলিশকে এতদিন যা বলেছিল সে, নারকো টেস্টেও তার বাইরে কিছু বলেনি। এখন আফতাবের 'পোস্ট নারকো টেস্ট ইন্টারভিউ' হবে। এই পরীক্ষা শুধুমাত্র দিল্লির তিহাড় জেলেই করা হবে। এ থেকে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছে পুলিশ। এই পরীক্ষা হবে সকাল ১০টায়। যা চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
'পোস্ট নারকো টেস্ট ইন্টারভিউ'-এর জন্য ৪ জন বিশেষজ্ঞ অফিসার এবং শ্রদ্ধা হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার আফতাবের কাছে তিহাড় জেলে যাবেনয। আফতাবকে কাউন্সেলিং করা হবে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা সন্তুষ্ট না হলে আফতাবকে আবার পরীক্ষা করা হতে পারে।
নারকো টেস্টে খুনের কথা স্বীকার
নারকো টেস্টে আফতাব হত্যার কথা স্বীকার করেছে। নারকো টেস্টের সময় আফতাবকে শ্রদ্ধার ফোন কোথায় জানতে চাওয়া হলে আফতাব উত্তর দিয়েছে,শ্রদ্ধার ফোন কোথাও ফেলে দিয়েছে সে। আফতাব স্বীকার করেছে, রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছে। পুলিশ এখনও ষড়যন্ত্রের মূলে পৌঁছতে চাইছে। নারকো টেস্টে আফতাব শ্রদ্ধার শরীরকে টুকরো টুকরো করার জন্য করাত ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছে। আফতাবের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা জানতে চাইলে তার দাবি, একাই এই কাজ করেছে। নারকো টেস্টে শ্রদ্ধার শরীরের অংশ জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে আফতাব।
যদিও আফতাব পুলিশের সামনে তার অপরাধ স্বীকার করছে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। পুলিশের কাছে এখনো কোনও শক্ত প্রমাণ নেই। আসলে নারকো টেস্টে অপরাধ স্বীকার আদালতে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নয়। আফতাব যা বলেছে তা একটি যোগসূত্র, যা ধরে পুলিশকে কিনারা করতে হবে।
আরও পড়ুন- বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের এই ৫ অভ্যাস থাকেই, মিলিয়ে নিন তো