সুর বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। শেষটা করলেন নরেন্দ্র মোদী। ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগলেন পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে। তাঁর দাবি, স্বাধীনতার পর দেশের নায়কদের কীর্তি মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে কংগ্রেস সরকার যে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি তা বুঝিয়ে দেন মোদী। বলেন,''এটা দুর্ভাগ্য়জনক। দেশের সংস্কৃতি ও সংস্কারের সঙ্গে অনেক মহান ব্যক্তিত্বদের যোগদানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে লক্ষাধিক মানুষ যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাসকে সীমিত করে রাখার চেষ্টা হয়েছে।''
মোদী সরকার অতীত ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে সংকল্প নিয়েছি, ভারত নিজের পরিচয়কে পুনর্জীবিত করবে। স্বাধীনতার কয়েক দশক পর দেশ ভুল সংশোধন করছে দেশ।''
তিনি জানান, বাবা সাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে জড়িত তীর্থগুলির উন্নয়ন হচ্ছে। বল্লভভাই পটেলের স্ট্যাচু অব ইউনিটি গোটা দুনিয়ার তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ভগবান বীরসা মুণ্ডার জয়ন্তীতে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপনের সূচনা হয়েছে। ইতিহাসকে মনে রাখার জন্য আদিবাসী স্মারকশালা তৈরি হচ্ছে।
মোদী মনে করিয়ে দেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে জড়িত সব কিছুকে সংরক্ষণ করছে দেশ। আন্দামানে তেরঙা উত্তোলন করেছিলেন নেতাজি। ৭৫ বছরে পূর্তিতে একটা দ্বীপের নামকরণ তাঁর নামে হয়েছে। নেতাজি ও আইএনএ-র জওয়ানদের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে আন্দামানে বিশেষ সংকল্প স্মারক তৈরি হয়েছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, গতবছর আজকের দিন কলকাতায় নেতাজির পৈত্রিক আবাসে গিয়েছিলাম। অভিভূত হয়েছিলাম তাঁর বাড়ির সিঁড়ি, দেওয়াল দেখে। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছরে উপলক্ষে তেরঙা উত্তোলন করেছিলাম লালকেল্লায়।''
এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন,''আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা ভিক্ষায় নেব না। ছিনিয়ে নেব। হলোগ্রাম প্রতিমার জায়গায় শীঘ্রই গ্রানাইটের বিশাল প্রতিমা স্থাপিত হবে। এটা স্বাধীনতার মহানায়ককে কৃতজ্ঞ রাষ্ট্রের শ্রদ্ধাঞ্জলি।''
মোদীর আগে কংগ্রেসের নাম না করে নিশানা করেছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন,''স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। নেতাজির প্রতিমা স্থাপনের পর ইতিহাসও নিজের প্রিয় সন্তানকে দেখে খুশি হবে।''