লোকসভা নির্বাচনের আবহে দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং বিচারপতি। এই নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখলেন ওই অবসরপ্রাপ্তরা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা নষ্ট করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, 'কিছু গোষ্ঠীর দ্বারা ক্রমাগত চাপ, ভুল তথ্য দিয়ে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থাকে দুর্বল করা হচ্ছে।' নির্বাচনের আগে প্রাক্তন বিচারকদের এমন চিঠি আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বহু নেতা-মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ওই সব নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন বিভিন্ন বিচারপতিরা। যার জেরে রাজনৈতিক দলের নেতাদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে কয়েকজন বিচারপতিকে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতিকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের চিঠি আলাদা মাত্রা যোগ করল।
রবিবার প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকরা জানিয়েছেন, 'সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ব্যক্তিগত লাভের কারণে বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দীপক বর্মা, কৃষ্ণ মুরারী, দীনেশ মহেশ্বরী, এমআর শাহ। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, 'বিশেষ করে ভুল তথ্য প্রচারের কৌশল এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মনোভাব পোষণ করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এটা গণতন্ত্রের মূলনীতির জন্য ক্ষতিকর।'
প্রসঙ্গত, গত মাসে বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন ৬০০ জনেরও বেশি আইনজীবী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী হরিশ সালভে এবং পিঙ্কি আনন্দ।
অন্য দিকে, গত বছর ডিসেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'বিশ্বের নানা প্রান্তে আমরা এখন মেরুকরণ দেখতে পাই। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অসহিষ্ণুতার কারণেই এটা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে।'