দিল্লি, ৬ অক্টোবর : করোনার ধাক্কায় একেবারে বেহাল দেশের অর্থনীতি। ফাঁকা সরকারি কোষাগারও। বিপুল ক্ষতি হয়েছে জিএসটি আদায়েও। চলতি আর্থিক বছরে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে কীভাবে জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা নিয়েই সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসেছিল জিএসটি কাউন্সিল। এই বৈঠক শেষেই ২০,০০০ কোটি টাকা মেটানোর কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
করোনার ধাক্কায় রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে যে জিএসটি পায় তা বাকি পড়েছিল। গত কয়েক মাস ধরেই সেই প্রাপ্য জিএসটি মেটানো নিয়ে চাপে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর মাঝেই কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৮টি রাজ্যে কিছুটা বকেয়া জিএসটি মিটিয়েছিল মোদী সরকার।এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানালেন, যে রাজ্যগুলি গতবার জিএসটি খাতে কম টাকা পেয়েছিল এবার তাদের জন্য আগামী সপ্তাহের শেষের দিকেই ২৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার রাতের মধ্যেই রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটির ২০ হাজার কোটি টাকা মেটানো হচ্ছে।
২০১৭ সালের পয়লা জুলাই থেকে ভারতে জিএসটি চালু হয়। এই সংক্রান্ত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জিএসটি চালুর জন্য রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় ১৪ শতাংশের বেশি কমলে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।এর আগে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক বসেছিল গত ২৭ আগস্ট। সেখানে জিএসটির ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে দু’টি সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রির্জাভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনার পর কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যগুলিকে কম সুদে ৯৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে হবে। সেস বসিয়ে ঋণশোধের অর্থ সংগ্রহ করবে রাজ্যগুলি।কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া এই সুযোগ গ্রহণ করেনি পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্য। যারমধ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গনাও।যদিও সূত্রের খবর, ২১টি রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের।
জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবার সভাপতিত্ব করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বৈঠকে ক্ষুদ্র করদাতাদের কথা মাথায় রেখে জিএসটি নিয়ে বড় ঘোষণা করে কেন্দ্র। অর্থসচিব জানান, এবার থেকে ক্ষুদ্র করদাতাদের প্রত্যেক মাসে রিটার্ন জমা দিতে হবে না, বরং তাঁরা ত্রৈমাসিকে রির্টান জমা দিতে পারবেন।