উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়, মুখ্যমন্ত্রীর গণবিবাহ প্রকল্পে প্রতারণার একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের মহালক্ষ্মী লনে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরির উপস্থিতিতে ২৩৩ জন দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এখন দেখা যাচ্ছে তাদের অনেকেরই সন্তান আছে। কিন্তু তারা আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন সরকারি অনুদানের জন্য।
অনেক দম্পতি এসে বিবাহস্থলে বসে তাদের বিবাহিত সম্পর্ক এবং কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আড়াল করেন। তারা প্রশাসনের কাছ থেকে নগদও নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বিষয়টি নজরে আসার পর, গণবিবাহ পরিকল্পনার আয়োজনকারী কর্মকর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ।
ব্যাপারটা আসলে কী..?
১৩ সেপ্টেম্বর, সরকারের নির্দেশে, জেলা সদরের মহালক্ষ্মী লনে মুখ্যমন্ত্রীর গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। লনটি সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল। বিয়েতে ২৩৩ জন দম্পতির রেজিস্ট্রেশন এবং যাচাইয়ের পরে, তাদের ধর্ম এবং রীতি অনুযায়ী গণবিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. উজ্জ্বল কুমার, সিডিও গৌরব সিং সোগারওয়াল-সহ অনেক জনপ্রতিনিধি বর -কনেকে আশীর্বাদ করতে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছিলেন। বিয়ের পর বর -কনেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অনুদান এবং উপহার দেওয়া হয়েছিল।
সত্য বেরিয়ে আসার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে!
এদিকে গণবিবাহে জড়িত এক দম্পতির ভুয়া বিয়ের সত্যতা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, কোলহুই থানা এলাকার বদিহরির বাসিন্দা অমরনাথ চৌধুরির ছেলে রাম নাথ চৌধুরি তাঁর নিদের বিহাহিত শ্যালিকার সঙ্গে সরকারি অনুদানের জন্য ফের বিয়ে করেছিলেন। তিনি নিজেও বিবাহিত এবং সন্তানও রয়েছে।
সরকারি অনুদানের জন্য ভগ্নিপতির সাথে বিয়ে
সরকারি অনুদানের জন্য এই ভুয়ো বিয়েতে বরের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। সরকারি অনুদানের লোভে সরকারি গণবিবাহ পরিকল্পনায় তিনি তার বোনের বিয়ে দিয়েছেন নিজের স্বামীর সঙ্গে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজকরা এখন বিষয়ে মুখে কুলুপ দিয়েছেন।
গ্রামের প্রধান এবং সিডিও -র বিবৃতি
এই ইস্যুতে, গ্রাম প্রধান মুরলীধর চৌধুরি বলেছিলেন যে আমি পরে জানতে পেরেছি। যদি বিষয়টি আগে জানা যেত তাহলে আমি এটা হতে দিতাম না। দুই সন্তানের জনক যিনি তার স্ত্রীর সাথে থাকেন ন তিনি কীভাবে তার বিবাহিত শ্যালিকাকে শুধুমাত্র সরকারি অনুদানের জন্য বিয়ে করতে পারেন, এটা ঠিক নয়। একই সময়ে, সিডিও গৌরব সিং সোগারওয়াল বলছেন যে বিষয়টির তদন্ত করা হবে। তারপরেই স্পষ্টভাবে বলা যাবে।