scorecardresearch
 

COVID হয়তো ১১ মার্চের মধ্যে ভারতে Endemic: ICMR বিজ্ঞানী

শেষের শুরু নাকি হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে গত দুবছর ধরে ত্রাস সৃষ্টি করা করোনা ভাইরাসের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। এমন আশ্বাসবাণী শোনাচ্ছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান সমীর পন্ডা।

Advertisement
ভাইরাসের এবার নাকি বিদায় নেওয়ার পালা ভাইরাসের এবার নাকি বিদায় নেওয়ার পালা
হাইলাইটস
  • বিশ্ব জুড়ে গত দুবছর ধরে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা
  • ভাইরাসের এবার নাকি বিদায় নেওয়ার পালা
  • এমন আশ্বাসবাণী শোনাচ্ছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানী

শেষের শুরু নাকি  হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে গত দুবছর ধরে ত্রাস সৃষ্টি করা করোনা ভাইরাসের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। এমন আশ্বাসবাণী শোনাচ্ছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান সমীর পন্ডা। অধ্যাপক দাবি করছেন, ১১ মার্চের পর থেকে কোভিড-১৯ ভারতে একটি সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে। 

আইসিএমআর-এর অতিমারি বিভাগের প্রধান সমীরণ পণ্ডার বক্তব্য, ‘‘অনুমান করা হচ্ছে যে ওমিক্রনের প্রভাব ভারতে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে তিন মাস ধরে চলবে। অর্থাৎ ১১ মার্চের পর থেকে আমরা এই রোগ থেকে কিছুটা অব্যাহতি পেতে পারি।’’

ডেল্টার পর ওমিক্রনের হানায় গোটা দেশের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অর্থনীতি সবকিছুই এর কোপে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবন কবে ফিরবে সেই দিকেই তাকিয়ে আম জনতা থেকে রাষ্ট্রনায়করা সকলেই। করোনা কবে যাবে এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা বহাল তবিয়তে থাকবে। সংক্রমণ নিয়েই মানুষকে বাঁচার যুদ্ধ করতে হবে। এই আবহে ভারতীয় বিজ্ঞানীর বক্তব্য নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।  অধ্যাপক  সমীরণ পণ্ডার মতে, ১১ মার্চের পর থেকে কোভিড-১৯ ভারতে একটি সাধারণ রোগ হয়েও দাঁড়াতে পারে। তবে তার জন্য অনেকগুলি বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। করোনার যদি কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবির্ভূত না হয় এবং যদি ওমিক্রন  ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিস্থাপন করে, তখনই করোনা একটি সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে বলে তাঁর দাবি।

এদিকে দেশে করোনা  সংক্রমণ অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২.৮২ লক্ষরও বেশি মানুষ। সংখ্যাটা গতকালের থেকে ১৮.৯ শতাংশ বেশি। এর ফলে, দেশ অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লক্ষ ৩১ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৯৪,৩৭২। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩.৭৯ কোটিরও বেশি মানুষ। তারমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৩.৫৫ কোটিরও বেশি রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। ফলে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৪,৮৭,২০২। এই একই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১,৮৮,১৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কর্ণাটকে। তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে যথাক্রমে কেরল, তামিলনাড়ু ও গুজরাত। মোট আক্রান্তের ৫৩.০৭ শতাংশ এই ৫ রাজ্যে। তারমধ্যে শুধুমাত্র কর্ণাটকেই ১৪.৬৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১৫.১৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে দেশে ওমিক্রনে  আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,৯৬১।

Advertisement

 

Advertisement