বিরোধী জোট নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ। বাদ যাচ্ছেন না শাসক দলের সাংসদ ও মন্ত্রীরাও। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বিরোধী জোটের শরিক দলগুলির রাজ্যে রাজ্যে বিরোধিতার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।
ইউপিএ জমানার দুর্নীতি, অপশাসনের কথা মানুষের মন থেকে এখন মুছে যায়নি। সে কারণে আলাদা নাম 'ইন্ডিয়া' দিয়ে আবারও মানুষকে ঠকাতে চাইছে বিরোধীরা। এই অভিযোগ লাগাতার করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সুরে বৃহস্পতিবার নির্মলা সীতারমন বলেন,'ইউপিএ-র সময় আর্থিক উন্নতি তলানিতে ছিল। মূল্যবৃদ্ধি ছিল তুঙ্গে। তাই ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ইউপিএকে হারিয়ে শিক্ষা দিয়েছিল সাধারণ মানুষ। ২০২৪ সালেও একই হাল হবে। গতকাল অমিত শাহ কথা বলেছিলেন, কেন ইউপিএ নাম বদলে আইএনডিআইএ করার দরকার পড়ল? আসলে ইউপিএ মানে যে দুর্নীতি, ভাতিজাবাদ, পরিবারবাদ সেটা এখনও মানুষের মনে আছে। '
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন,'এদের দ্বিচারিতা দেখুন!আজব ঐক্য। এই শরিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন না একসঙ্গে লড়ছেন? পঞ্জাবে কংগ্রেস ও আপ পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দিল্লিতেও একই। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছে। কেরল ও ত্রিপুরায় সিপিএম ও কংগ্রেস পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছে। রাজস্থান, হিমাচল ও গুজরাটে আপ আর কংগ্রেসের লড়াই। জম্মু-কাশ্মীরেও লড়াই করছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স।'
অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন,'বিশ্ব মন্দার সঙ্কটে। চিনের অর্থনীতি টলমল। জার্মানি, ব্রিটেনের অর্থনীতিও সমস্যায়। কিন্তু আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উন্নতিশীল অর্থনীতি। করোনার সংকট কাটিয়েও আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। ইউপিএ সরকারে আমরা দারিদ্র দূর করার কথা শুনতাম। ছয় দশক ধরে শুনছি। কিন্তু দারিদ্র কি দূর হয়েছে? তবে আমরা দারিদ্র কমাতে সফল হয়েছি। আরও কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগে বলত গ্রামে রাস্তা হবে, এখন হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল বন্দর তৈরি হবে, বিমানবন্দর হয়েছে।'