HM Amit Shah on CAA: নির্বাচনের আগে কার্যকর হয়েছে সিএএ। আখেরে লাভ কি বিজেপির? বিজেপি ভোটব্যাঙ্কের জন্য নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর করে বলে দাবি করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৪-এর মঞ্চে নির্বাচনের আগে কেন সিএএ এল এবং এর লক্ষ্য কী তা নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।
শাহ বলেন, "রাহুলজি মনে হয় আইনী পদ্ধতি অনুসরণ করেন না। ২০১৯-এ আইন পাশ হয়। বারবার বলেছি এই আইন হবেই হবে। পাঁচবছর আগে আইন তৈরি হয়েছিল। এখন শুধু নিয়ম তৈরি হয়েছে। আমরা ২০১৯-এর ইস্তেহারপত্রতে ঘোষণা করেছিলাম ক্ষমতায় এলে সিএএ কার্যকর হবে। ২০১৯-এ এই বিল পাশ হয়। সবাই জানত আসবে। আমরা কোনওদিন বলিনি এই আইন থেকে পিছু হঠব।"
অমিত শাহ আরও বলেন, "মুসলিম পার্সোনাল ল কেন? যারা মুসলিম পার্সোনাল ল সমর্থন করেন তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমরা যদি স্বাধীনতার সময় ক্ষমতায় থাকতাম, কখনও দেশের ভাগ করতাম না। তাহলে পাঁচ সম্প্রদায়ের বিষয়ই আসত না। এই দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল। অনেক অত্যাচার হয়েছে। সেসময় দেশের সব নেতা বলেছিলেন যেখানে আছেন, থেকে যান। পরে আসতে চাইলে আসবেন। এরপর যখন তারা আসতে চান, তারপর দেখা গেল মৃত মহিলাদের দেহ এসেছিল ট্রেনে। বাঁটায়োরার পর হাজার হাজার লোককে মারা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানে ২৩ শতাংশ হিন্দু ছিল, আজ ২.৭ শতাংশ। ধর্ম পরিবর্তন, মহিলাদের সঙ্গে অত্যাচার, শিশুদের জোর করে নিকাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ২৩ শতাংশ হিন্দু ছিল, এখন ১০ শতাংশ। ২ লাখের বেশি হিন্দু ও শিখ ছিল আফগানিস্তানে। আজ ৩৭৮। তারা কোথায়? তাঁদের নাগরিকত্ব দেব না? ভারতের নাগরিকত্বের অধিকার আছে শরণার্থীদের।"
তিনি এও বলেন, খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীদের আমরা আটকাইনি। ভৌগোলিক সীমা আমাদের সঙ্গে আছে, তাই তাদের এখানে ডাকা হয়েছে। এই তিন রাষ্ট্র থেকে যে শরনার্থীদের স্বাগত করেছি তারা ঘোষিত ইসলামিক দেশ। তাদের সংবিধানে তা লেখা। ইসলামিক দেশে ধর্মীয় অত্যাচার হয় কি? সেখানে ধর্ম পরিবর্তন হতে পারে না। আমাদের যে সিদ্ধান্ত তাতে কোনও ভুল নেই। ১৯৫০-এর কংগ্রেস যে কথা দিয়েছিল, তা বিজেপি পূরণ করে দেখাল।
কাশ্মীর ইস্যুতে শাহ বলেন, "PoK তো ভারতের অংশ, সেখানে হিন্দুরা আমাদের, মুসলমানরাও আমাদের।"
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪-র পরে যারা এসেছেন তারা এ দেশেরই। শরনার্থীদের ধর্ষক, পকেটমার এসব মন্তব্য করা উচিত না। অনুপ্রবেশকারী আর শরনার্থীরা কখনও এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা অসৎ উপায়ে আসেন, যারা শরনার্থী ধার্মিক প্রতারণায় এসেছেন, তাদের কোনও তুলনা হয় না। সিএএ থেকে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। শরনার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন। এনআরসির জবাব পরে দেব।