বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যোগ দেবেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লালকৃষ্ণ আদবানী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় থাকবেন এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বহুবছরের অংশীদার তিনি। এদিন তিনি উপস্থিত থাকলেও, প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই।
আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল, রাম লাল এবং অলোক কুমার বুধবার আদবানীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। অযোধ্যায় অনুষ্ঠান চলাকালীন লালকৃষ্ণ আদবানীকে সমস্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে।
আমন্ত্রণ পেয়ে আদবানী বলেন, অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে তিনি এমন একটি দুর্দান্ত অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কারণ শ্রী রামের মন্দির শুধু উপাসনার মন্দির নয়, এটি এদেশের পবিত্রতা ও এদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উপলক্ষ।
তিনি আরও বলেন,"প্রথমত, এত বছর পরে আমরা ভারতের 'স্ব'-এর প্রতীক পুনর্নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে করা হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হল, আমরা বহু দশক ধরে আমাদের নিজস্ব দিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, আমরা তা খুঁজে পেয়েছি এবং এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সকলের মনে একটি বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে সারা দেশের পরিবেশ হয়ে উঠেছে মঙ্গলময়। আর এমন পরিস্থিতিতে আমরা সরাসরি সেখানে উপস্থিত হব, সেই ঘটনা দেখব… এটা নিশ্চিত যে কোনও জন্মে কোথাও না কোথাও ভালো কাজ হয়েছে, আর আমরা তার ফল পাচ্ছি। তাই আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই। এটি এমন একটি সুযোগ যা চাওয়ার পরেও পাওয়া যায়নি, আমি এটি পেয়েছি ... আমি অবশ্যই এতে থাকব।"
এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গর্ভগৃহে উপস্থিত থাকবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক সপ্তাহ আগে ১৬ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হচ্ছে
২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান চলাকালীন অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের একটি সমাবেশ হচ্ছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচি। অতএব, এই তারিখ থেকে, শুধুমাত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হবে, নিরাপত্তা পরিকল্পনামাফিক নিয়মিত মহড়া করা হবে।