প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, বাংলা প্রয়োজনের তুলনায় অন্যান্য রাজ্যের থেকে কম ভ্যাকসিন পেয়েছে। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি তিনি বিষয়টি তুললেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আরও ভ্যাকসিন চাইলেন মমতা
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বলেন, 'বাংলা অন্যান্য রাজ্য থেকে কম ভ্যাকসিন পাচ্ছে। বাংলার করোনা চিত্র অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই আমি সবার টিকাকরণ সম্পূর্ণ রাখতে চাই। এগুলো নিয়েই কথা হয়েছে। বাংলার নাম পরিবর্তন করা নিয়েও কথা হয়েছে। এটা অনেকদিন ধরে আটকে আছে। দয়া করে বিষয়টি দেখতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিষয়টি দেখা হবে। আগামী দিন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করব।' মমতা জানান, 'বৈঠক ভালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সব কথা শুনেছেন। তবে উপ নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য RTPCR টেস্ট দরকার। আমার দুবার ডোজ নেওয়া আছে, কিন্তু কোভিড টেস্ট এখানে করাব কোথায়? এখন না হলে পরে দেখা করব, রাষ্ট্রপতি সুস্থ থাকুন।'
দিল্লি সফরে মমতা
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম দিল্লি সফরে আসেন মমতা। বিধানসভা নির্বাচনের পরে মমতার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। ২১শে জুলাইয়ের ভাষণ এই প্রথম একাধিক রাজ্যে শোনানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। ফলে লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের ক্রমশ শক্তিশালী করছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের আপাতত লক্ষ্য ত্রিপুরা। ইতিমধ্যে তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সনও হয়েছেন মমতা। দিল্লি এসে তাঁর একাধিক বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক স্বাভাবিক ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে মমতার এই সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল।