বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদী দাবি করেছেন যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠক থেকে রেগে গিয়ে তাড়াতাড়ি পাটনা ফিরেছেন। সুশীল কুমার মোদী বলেছেন যে নীতীশ কুমারকে বিরোধীদের নতুন জোট I.N.D.I.A আহ্বায়ক করা হয়নি। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী দলের বৈঠক থেকে দ্রুত ফিরে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখোমুখি হওয়ার জন্য বিরোধীরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এই নিয়েই, ১৭-১৮ জুলাই, কংগ্রেস বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির একটি বড় বৈঠক ডেকেছিল। এই বৈঠকে ২৬টি দলের নেতারা অংশ নেন। শুধু তাই নয়, বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য গঠিত এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে I.N.D.I.A অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।
নীতীশ কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেননি
বেঙ্গালুরুতে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলগুলো। বিজেপির দাবি, নীতীশ এই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেননি। তারআগেই মিটিং ত্যাগ করে পাটনার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক সম্মেলনে শুধু কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে এবং রাহুল গান্ধী বক্তব্য রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির দাবি, সভা থেকে রেগে পাটন ফিরেছেন নীতীশ কুমার।
সুশীল কুমার মোদী ট্যুইট করে বলেন, কেন সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ না নিয়ে নীতীশ ও লালু চলে গেলেন। তাকে আহ্বায়ক না করায় কি তিনি ক্ষুব্ধ? একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে ট্যুইট করে বলেছেন, শুনেছি বিহারের মহাঠাগবন্ধনের বড় ভূপতিরা ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু থেকে চলে গিয়েছেন। বর ঠিক হয়নি, পিসেমশাইরা তার আগেই রেগে যাচ্ছেন।
বেঙ্গালুরুতে নীতীশের বিরুদ্ধে পোস্টার
বিরোধী দলগুলির বৈঠকের আগে বেঙ্গালুরুতে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে পোস্টারও লাগানো হয়েছিল। এতে বিহারে পড়ে যাওয়া সেতুর কথা উল্লেখ করে নীতীশ কুমারকে অস্থিতিশীল প্রধানমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি প্রধানমন্ত্রীর অস্থির দাবিদার।
নিশানা বিজেপির
বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরি বলেছেন, মহাজোটের লোকেরা নীতীশ কুমারকে বেঙ্গালুরুতে ডেকে অপমান করেছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে, নীতীশ কুমারকে অস্থির বলা হয়েছে এবং তাকে অনেক কষ্ট দেওয়া হয়েছে। নীতীশ তাদের জোটে আসুক এটা কংগ্রেসিদের কৌশল ছিল, কিন্তু তার ভূমিকা থাকবে না। এর জন্য দায়ী নীতীশ কুমার নিজেই।