scorecardresearch
 

পটনায় অপারেশন বুলডোজার, SP-কে মারধর বিক্ষুব্ধদের

রবিবার পটনার নেপালি নগর এলাকায় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ। যার জেরে জখম হয়েছেন এসপি (সেন্ট্রাল) অমরিশ রাহুল-সহ আরও দুই পুলিশকর্মী। পটনা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিহার রাজ্য হাউজিং বোর্ডের জমিতে ৯০টি বাড়ি ভেঙে ফেলতে এসেছিলেন। তার জেরেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

Advertisement
ঘটনাস্থলের ছবি ঘটনাস্থলের ছবি
হাইলাইটস
  • রবিবার পটনার নেপালি নগর এলাকায় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ
  • যার জেরে জখম হয়েছেন এসপি (সেন্ট্রাল) অমরিশ রাহুল-সহ আরও দুই পুলিশকর্মী

রবিবার পটনার নেপালি নগর এলাকায় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ। যার জেরে জখম হয়েছেন এসপি (সেন্ট্রাল) অমরিশ রাহুল-সহ আরও দুই পুলিশকর্মী। পটনা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিহার রাজ্য হাউজিং বোর্ডের জমিতে ৯০টি বাড়ি ভেঙে ফেলতে এসেছিলেন। তার জেরেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে নেপালি নগর এলাকায় ৯০টি বাড়ি ভাঙার কাজে সচেষ্ট হতেই স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু সরকারি গাড়িও। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে এই হিংসার ঘটনায়  সিটি এসপি অমরীশ রাহুল মুখে আঘাত পান। পাটনার ডিএম ডাঃ চন্দ্রশেখর সিং ঘটনাস্থলে আসার পর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ডাঃ চন্দ্রশেখর সিং জানান, প্রশাসন নেপালি নগর এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য আইনত কাজ করছিল। কিন্তু স্থানীয় জনতা পাথর ছুড়লে সিটি এসপিসহ দুই পুলিশ সদস্য জখম হন। তিনি আরও জানান, পুলিশের তরফে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
 
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে, এক ডজনেরও বেশি বুলডোজার এবং ২০০০-এরও বেশি পুলিশ বাহিনী নেপালি নগরে পৌঁছে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে। রাজীব নগরের নেপালি এলাকায় প্রায় ৭০টি বাড়ি রয়েছে যা বিহার রাজ্য হাউজিং বোর্ডের অবৈধ জমিতে নির্মিত বলে অভিযোগ। 

তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক মাস আগে এই ৭০ বাড়িওয়ালাকে বাড়ি খালি করার নোটিশ দিয়েছিল প্রশাসন। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ,তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। পরে, সুপ্রিম কোর্ট বিহার রাজ্য হাউজিং বোর্ডকে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে এবং কৃষকদের সুদের সাথে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, যা হাউজিং বোর্ড এখনও পর্যন্ত মেনে চলেনি বলে জানা গেছে। 

Advertisement

 

Advertisement