তালিবান শাসন নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ এসে সরব হলেন আফগানিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-র প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদ, নারী অধিকার কর্মী ফওজিয়া কুফি। যিনি তালিবানদের চোখে চোখ রেখে জানিয়েছিলেন নারীরা ঘরের ভেতর বন্দী থাকবেন না। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ হিজাব, ঘৃণা ও রাষ্ট্র সংক্রান্ত আলোচনায় এসেও তালিবানদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ফওজিয়া।
আফগানিস্তানের রাজনৈতিক নেত্রী ও সমাজকর্মী ফওজিয়া কুফি বলেন, তালিবান শাসনে আসার পর থেকে, তারা ৩৬টি নারী অধিকার খর্ব করার আদেশ জারি করে, যেখানে শিক্ষার অধিকার, কাজ, তাঁদের গতিশীলতা, চেহারা সহ বেশ কিছু বিষয় যুক্ত ছিল। তারা মহিলাদের দমন করে কারণ তারা মনে করে এটি একটি সহজ প্রবেশ বিন্দু। তারা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে যাতে তারা তাদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ফওজিয়া আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করেন।
আরও পড়ুন: 'বিশ্বকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে সম্মান করতে শিখিয়েছেন'
পার্লামেন্টের বাঘা বাঘা সব পুরুষ সদস্য ফওজিয়ার কর্মকাণ্ডে খুব বেশি খুশি ছিলেন না। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুব বেশি সায় ছিল না তাঁদের। তবে ফওজিয়া দমেননি। তিনি জানতেন, সবাইকে খুশি করা যায় না। নারী বলে তাঁকে অনেক ক্ষেত্রেই দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলেছে। এই অবস্থানে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অপরদিকে, হিজাব প্রসঙ্গে ইরানের শান্তি বিষয়ক সমাজকর্মী ও আন্তর্জাতিক সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা সনম নারাগি আন্ডারলিনি বলেছেন, হিজাব এখন শুধুই প্রতীকি, শারীরিকভাবে নিপীড়ক পোশাক। নারীরা গত ৪০ বছরে এটিকে পিছনে ঠেলে দিয়েছে। এর আইন পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: 'জন্মদিন-স্কুল পার্টি নয়, বড় মঞ্চে পারফর্ম করবে?' বাবা-মায়ের সেই কথাই স্মরণ সুহানীর
প্রসঙ্গত, ইরানে হিজাব বিতর্ক এখনও অব্যাহত। কয়েক মাস ধরেই হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তাল ইরান। বহু মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। দেশের সরকার কড়া হাতে দমন করার জন্য আন্দোলনকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিতেও পিছুপা হচ্ছেন না। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও মৃত্যু হয়েছে বহুজনের।