scorecardresearch
 

পালানোর উপায় নেই, করখেলাপিদের খুঁজতে স্যাটেলাইট নামাল পুরসভা

কর দেবেন না ঠিক করেছেন ! কোনও উপায় নেই। দিতেই হবে কর। অর্থাৎ পুরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স। পালানোর কোনও উপায় নেই। কারণ আপনার বাড়ি খুঁজে আনে পুরসভার স্যাটেলাইট।

Advertisement
স্যাটেলাইটের ছবি স্যাটেলাইটের ছবি
হাইলাইটস
  • স্যাটেলাইট দিয়ে খোঁজা হবে আপনার বাড়ি
  • কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারবে না
  • কর আদায়ে রাজস্ব বৃদ্ধির আশা পুরসভার

ট্যাক্স না দিয়ে আর পার পাবেন না

ট্যাক্স দিচ্ছে না বেশিরভাগ বাসিন্দাই। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে মিলছে কর। কর আদায়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল পৌরসভা। বাড়ির সঠিক লোকেশন বের করতে স্যাটেলাইট ব্যবহার শুরু করল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে সিদ্ধান্ত ঘিরে চাঞ্চল্য।

স্যাটেলাইট খুঁজে আনবে আপনাকে

ঋণখেলাপিদের পথে আনতে স্যাটেলাইট লাগিয়ে দিল পৌরসভা। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর শহরে এই ঘটনাযস প্রকাশ্যে আসতেই পুরসভাকে বাহবা দিয়েছেন গোটা দেশের মানুষ। ইতিমধ্যে গোরখপুর শহরের জনসংখ্যা ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার। এর মধ্যে মাত্র দেড় লাখের কাছাকাছি মানুষ বাড়ি এবং দোকানের জন্য কর দেন। বাকিরা কেউই কর দেন না। ফলে পুর পরিষেবা চালিয়ে যেতে হিমসিম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

করের আদায় বাড়বে বলে আশা

এবার থেকে তাদের শায়েস্তা করতে স্যাটেলাইট দিয়ে করখেলাপিদের খোঁজা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার বাড়ি এবং দোকানকে এই আওতায় আনা হয়েছে। যাতে কর আদায়ের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

১৫ ওয়ার্ডে স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়েছে

এই তল্লাশি অভিযানে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে লাগাতার চালানো হচ্ছে। পাঁচ হাজার বাড়িকে ইতিমধ্যেই তালিকার মধ্যে আনা হয়েছে। আরও এভাবে অন্তত কয়েক লক্ষ বাড়ি ও দোকানকে স্যাটেলাইট এর আন্ডারে আনার চেষ্টা করছে পৌরসভা। ইতিমধ্য়েই ১৫ টি ওয়ার্ডে স্যাটেলাইট চালানো হয়েছে।

স্যাটেলাইটের পর বাড়ি যাচ্ছে দল

পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম স্যাটেলাইট দিয়ে খোঁজা হচ্ছে তারপর নগরনিগমের দল ওই এলাকায় গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। এর পর কারা কারা কর দিচ্ছেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে। যদি তারা কর না দেন, তবে সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। তবে তাদের সময় দেওয়া হবে।

Advertisement

ঘাবড়ে গিয়ে আগেই কর দিচ্ছেন অনেকে

গোরখপুর পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই আয় বৃদ্ধি হচ্ছে। ২০১৮ সালে যেখানে আয় ছিল সাড়ে কুড়ি কোটি টাকা, সেখানে ২-১৯-২০ তে সাড়ে ২১ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। আবার ২০২০-২১ কোটি টাকা আয় হয়েছে কর আদায় থেকে। নতুন যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে তাতে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়ে আগেই কর দিতে হাজির হচ্ছেন বলে খবর মিলেছে।

 

Advertisement