scorecardresearch
 

নেই কোন বিধায়ক-সাংসদ, তবুও ত্রিপুরাতে তৃণমূলকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি?

বাংলার ভোট শেষ। এবার ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে নজর তৃণমূলের। সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্তরে ঢেলে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি তৃণমূলের মূল লক্ষ্য ত্রিপুরা। এই কথার আর কোনও লুকোচুরি নেই। বাংলার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের ত্রিপুরায় পাঠানো, আইপ্যাকের তৎপরতা এবং অভিষেকের আগামী সপ্তাহে কর্মসূচি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরায় এবার পুরোদমে ঝাঁপাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

Advertisement
বিপ্লব দেব। ফাইল ছবি বিপ্লব দেব। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • নেই কোন বিধায়ক-সাংসদ
  • তবুও ত্রিপুরাতে তৃণমূলকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

বাংলার ভোট শেষ। এবার ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে নজর তৃণমূলের। সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্তরে ঢেলে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি তৃণমূলের মূল লক্ষ্য ত্রিপুরা। এই কথার আর কোনও লুকোচুরি নেই। বাংলার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের ত্রিপুরায় পাঠানো, আইপ্যাকের তৎপরতা এবং অভিষেকের আগামী সপ্তাহে কর্মসূচি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরায় এবার পুরোদমে ঝাঁপাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তবে আবার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে বিজেপি শিবির থেকেও। ঘনঘন তৃণমূলকে নিশানা করে সাংবাদিক বৈঠক কিংবা বিবৃতি দিয়ে তোপ দাগা। প্রশ্ন উঠছে, যেই দলের ত্রিপুরায় সাংসদ কিংবা বিধায়কই নেই, তাদের নিয়ে কেন এতো চিন্তিত বিজেপি? 

কেন গুরুত্ব তৃণমূলকে?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিপুরা বাকি দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিএম তেমন মজবুত নয়। আঞ্চলিক দলগুলি পকেট ভোটেই সীমাবদ্ধ। ফলে এই ফায়দাটা নিতে চলেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে যদি ত্রিপুরা থেকে ২টি আসনের একটি জয়লাভ করতে পারে, তাহলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক লাভ হবে তৃণমূলের। পাশাপাশি একসময়ে এই রাজ্যে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁরা বিজেপিতে সামিল হয়ে যান। ফলে হারানো জমি ফিরে মেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে যে তৃণমূল যোগাযোগ করছে, এই খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ফলে বিষয়টির গুরুত্ব আগে থেকেই বুঝতে পেরেছে বিজেপি। তাই জন্য দলীয় কোন্দল ঠেকাতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ছুটে আসতে হয়েছে এই রাজ্যে। 

রয়েছে দল ভাঙানোর আশঙ্কা

অন্যদিকে আরেকটি বিষয়ও রয়েছে। বাংলার নির্বাচনে জয়ের আশায় একের পর এক সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ। কিন্তু ৭৭ এ আটকে গিয়েছে দল। রাজ্য বিজেপির গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ফলের দিক থেকে লাভ হলেও, গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কিন্তু বড় ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল। এখন ত্রিপুরা থেকে তৃণমূল যদি বিধায়ক ভাঙায় তাহলে তাতে বিপত্তি বাড়বে বিজেপিতে। ফলে এই বিষয়টিতে কড়া নজর রাখছে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব।

Advertisement

ত্রিপুরায় অভিষেক

আগামী সপ্তাহেই ত্রিপুরায় পা রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তিনি কী বার্তা দেন সেই দিকেও নজর রয়েছে। সদ্য ত্রিপুরায় কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে আই প্যাক কর্মীদের হোটেলবন্দি করা ইস্যুতে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ত্রিপুরায় রয়েছেন।

Advertisement