মঙ্গলবার মানেই বজরংবলীর দিন। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে নিয়ম করে হনুমানজির পুজো করলে ইচ্ছেপূরণ হয়। তাই মঙ্গলবার করে হনুমানজির মন্দিরে ভক্ত সমাগম হয়। বিশেষ পুজোও করা হয়। আগামী মাসেই হনুমানজয়ন্তী। ২৩ এপ্রিল পড়েছে হনুমানজয়ন্তী। সেদিন আবার মঙ্গলবার। ফলে ওই দিনটি খুবই পবিত্র।
শাস্ত্র মতে, কিছু নিয়ম মেনে হনুমানজির পুজো করলে সব স্বপ্নপূরণ হয়। শুধু তাই নয়, সব ইচ্ছেপূরণ করা সম্ভব। হনুমানজিকে খুশি করার উপায় জেনে নিন...
* যেহেতু হনুমানজি রামভক্ত। তাই মঙ্গলবার রাম স্তুতি করলে সব মনস্কামনা পূরণ করেন বজরংবলী।
* হনুমানজয়ন্তীতে গরিবদের অন্ন বিতরণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
* হনুমানজয়ন্তীর দিন বজরংবলীকে কমলা সিঁদুর নিবেদন করলে ইচ্ছেপূরণ হয়।
* হনুমানজয়ন্তীর ভোগে বোঁদে এবং লাড্ডু নিবেদন করলে আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
* মঙ্গলবার করে হনুমান চালিশা পাঠ করুন। এতে সব সঙ্কট দূর হয়।
হনুমান জয়ন্তীতে পুজো করবেন কীভাবে?
হনুমানজয়ন্তীর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে বজরংবলীকে প্রণাম করুন। পাঁচ বার বজরংবলীর নাম নিন। স্নান সেরে হলুদ বস্ত্র পরুন। হনুমানজির মূর্তির সামনে ওম কেশবায় নম:, ওম নারায়নায় নম:, ওম মাধবায় নম:, ওম হৃশীকেশায় নম: মন্ত্র উচ্চারণ করুন। মন্ত্রোচ্চারণের পর সূর্যকে নমস্কার করুন। মন্ত্রোচ্চারণের পর হনুমানজিকে ভোগ নিবেদন করুন। পুজো শেষে মোমবাতি বা প্রদীপ এবং ধূপ জ্বালান। পুজোর পর প্রসাদ অবশ্যই সকলকে দান করুন।
কবে হনুমানজয়ন্তী?
এবছর হনুমানজয়ন্তী পড়েছে ২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার। ওই দিন ভোর ৩টে ২৫ মিনিট থেকে চৈত্র পূর্ণিমা তিথি শুরু। পরের দিন ভোর ৫টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত তিথি থাকবে। ২৩ এপ্রিল সকাল ৯টা ৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এবং রাত ৮টা ১৪ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত পুজোর জন্য ভাল সময়।