সনাতন ধর্মে সিঁদুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি ছাড়া সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজ বা পুজো সম্পূর্ণ হয় না। দেবতাদের অলংকরণে সিঁদুর ব্যবহার করা হয়। বিবাহিত মহিলারাও সিঁদুর পরেন। পুরাণ ও বাস্তু মতে বিশ্বাস করা হয়, মহিলারা যেভাবে সিঁদুর লাগান তা সরাসরি তাদের স্বামীর জীবনকে প্রভাবিত করে। এছাড়া সিঁদুরের এমন কিছু প্রতিকার রয়েছে, যা করলে আপনার সৌভাগ্য অনেক বাড়বে এবং কখনও কোনও কিছুর অভাব হবে না।
নেতিবাচকতাকে দূর করে, জীবনকে উন্নত করার উপায় বাস্তুশাস্ত্রে রয়েছে। বাড়ির সমস্ত কাজ করার সময় বাস্তু অনুসারে করলে, জীবনের নানা বিপত্তি দূর হয়। তবে বাস্তু সংক্রান্ত একটি ছোট ভুলও একজন মানুষকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে যথেষ্ট। আসুন জানা যাক এমন ৫ ভুলের কথা যা, নিজেদের অজান্তেই বহু মানুষ করে ফেলে এবং জীবন সংকটে ভরে যায়।
সিঁদুর লাগানোর বাস্তু নিয়ম
* চুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর লুকিয়ে রাখবেন না, এতে আপনার স্বামীর জীবনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
* বিবাহিত মহিলাদের স্নান বা চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিঁদুর পরা উচিত না। বাস্তু মতে, এরকম করলে মহিলাদের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। ঘরের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। পারিবারিক কলহ বাড়তে পারে।
* স্নানের পর তোয়ালে দিয়ে জল মুছে চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন। তারপর নিজের সিঁথি সিঁদুর দিয়ে পূরণ করুন।
* কারও টাকা দিয়ে কেনা সিঁদুর কখনও লাগাবেন না। নয়তো স্বামীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
* সিঁথির মাঝখানে সিঁদুর লাগালে স্বামীর আয়ু দীর্ঘ হবে। সিঁথির মাঝখানে সিঁদুর না লাগালে স্বামীও আপনার থেকে দূরে থাকবেন।
* উপহারে পাওয়া সিঁদুর ব্যবহার করবেন না। নয়তো স্বামীকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
* আপনার সিঁথিতে অন্য কোনও নারীর সিঁদুর লাগাবেন না। নয়তো স্বামীকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
সিঁদুরের বিশেষ প্রতিকার
* বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কেউ যদি শনিবার সর্ষের তেলের সঙ্গে সিঁদুর মিশিয়ে শনিদেবকে লাগান, তাহলে গ্রহরাজ প্রসন্ন হোন। যার মাধ্যমে আপনি বদ নজর এড়াতে পারবেন। এছাড়া শনিবার বজরংবলীকে জুঁই তেলের সঙ্গে সিঁদুর অর্পণ করুন। এতে সমস্যা দূর হবে।
* বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য একটি নারকেলের উপর সিঁদুর লাগিয়ে একটি কাপড়ে বেঁধে ধনদেবীকে স্মরণ করুন। এরপর এই নারকেলটি আপনার কর্মস্থলে রাখুন। এতে চাকরি বা ব্যবসায় লাভবান হবেন। যার ফলে আপনার আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।
* বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, ভগবান গণেশকে সিঁদুর অর্পণ করলে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। যার কারণে সে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে। সেই সঙ্গে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। যে শিশুর মন পড়াশোনায় নেই, তাদের প্রতিদিন সকালে স্নানের পর ভগবান গণেশকে সিঁদুর অর্পণ করা উচিত।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)