scorecardresearch
 

Vastu Tips For Roti: বাড়িতে রুটি তৈরি-পরিবেশনে ত্রুটিতে সংসারে অমঙ্গল-অর্থকষ্টের আশঙ্কা; জানুন নিয়ম

Vastu Tips For Roti Making and Serve at Home: বাস্তু বিধি অনুযায়ী, রুটি বানানো বা পরিবেশনের ক্ষেত্রে ত্রুটি হলে সংসারে অমঙ্গল হতে পারে। সেই সঙ্গে আর্থিক সমস্যা-দারিদ্রের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, রুটি বানানো বা পরিবেশনের সঠিক নিয়ম জেনে নিন...

Advertisement
বাড়িতে রুটি তৈরি বা পরিবেশনে ত্রুটি হলে বাড়াতে পারে আর্থিক সমস্যা-দারিদ্র। বাড়িতে রুটি তৈরি বা পরিবেশনে ত্রুটি হলে বাড়াতে পারে আর্থিক সমস্যা-দারিদ্র।
হাইলাইটস
  • বাস্তুশাস্ত্র আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
  • তাই আপনার রান্নাঘরে বাস্তুর বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
  • বাস্তু বিধি অনুযায়ী, রুটি বানানো বা পরিবেশনের ক্ষেত্রে ত্রুটি হলে সংসারে অমঙ্গল হতে পারে।

Vastu Tips For Roti Making and Serve at Home: বাস্তুশাস্ত্র আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। কম শুভ ও অশুভ সময় দেখেই অনেক শুভকাজ শুরু হয়। একইভাবে, খাদ্য সম্পর্কে অনেক নিয়ম এবং বিশ্বাস আছে। আসলে, আপনার রান্নাঘরে বাস্তুর বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এসবের যত্ন না নিলে অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। যেমন, বাস্তুশাস্ত্রে বাড়িতে রুটি বানানো বা পরিবেশনের কিছু নিয়ম বলা রয়েছে। বাস্তু বিধি অনুযায়ী, রুটি বানানো বা পরিবেশনের ক্ষেত্রে ত্রুটি হলে সংসারে অমঙ্গল হতে পারে। সেই সঙ্গে আর্থিক সমস্যা-দারিদ্রের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, রুটি বানানো বা পরিবেশনের সঠিক নিয়ম জেনে নিন...

ভুল করেও একটি পাতে ৩টি রুটি পরিবেশন করবেন না:
ভুল করেও একটি পাতে ৩টি রুটি পরিবেশন করবেন না। পাতে ৩টি রুটি পরিবেশন করলে ঘরে অর্থনৈতিক সংকটের মেঘ ঘনিয়ে আসবে এবং দারিদ্র্য বিরাজ করবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, ৩ নম্বরটিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, থালায় তিনটি রুটি রাখলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে পরস্পরের মনে শত্রুতা জাগে। শাস্ত্রমতে শুধু রুটি নয়, যে কোনও খাবার এক প্লেটে তিনটি রাখা উচিত নয়।

এই ৫ অনুষ্ঠানে ঘরে রুটি বানানো অশুভ:
আপনি কি জানেন যে, হিন্দু ধর্মে এমন কিছু দিন আছে যখন রুটি বানানো-সেঁকা অশুভ?  হ্যাঁ, সনাতন ধর্মে এমন বেশ কয়েকটা দিন রয়েছে যখন বাড়িতে রুটি বানানো অশুভ বলে মনে করা হয়। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক...

Roti

শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন, বাড়িতে কেউ মারা গেলে তখন ঘরে রুটি বানানো মোটেই শুভ নয়। এ ক্ষেত্রে ত্রয়োদশ আচারের পরেই এই বাড়িতে রুটি বানানো যেতে পারে। এমন মনে করা হয় যে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর তেরো দিনের আগে রুটি তৈরি করলে মৃত ব্যক্তির আত্মা কষ্ট পায়।

Advertisement

শাস্ত্র অনুসারে নাগপমঞ্চির দিনে রুটি তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই দিনে খির, পুরি এবং হালুয়ার মতো জিনিস তৈরি করে খেতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, নাগপঞ্চমীর দিন শিখায় ভাজা দেওয়া হয় না। কথিত আছে যে তাওয়া হল কোবরার ফণার প্রতিরূপ। সেজন্য নাগপঞ্চমীতে আগুন রাখা উচিত নয়।

শীতলাষ্টমীতে শীতলা মাতার পূজা করার নিয়ম আছে। এই দিনে মাকে বাসি খাবার দেওয়া হয় এবং শুধুমাত্র এটিই খাওয়া হয়। এমনকি শীতলা অষ্টমীতে সূর্যোদয়ের আগে, বাসি খাবার মাকে নিবেদন করা হয় এবং তা প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এই দিনেও বাড়িতে রুটি বানাতে নেই।

শারদ পূর্ণিমার দিনে চাঁদ ১৬ কলায় পারদর্শী হয়। কথিত আছে, শারদ পূর্ণিমার সন্ধ্যায় খির তৈরি করে চাঁদের আলোতে রাখা হয় এবং পরের দিন সকালে সেবন করা হয়। যেহেতু এই দিনে চাঁদের আলোয় রাখা খির খাওয়ার প্রথা আছে, তাই এই নিন ঘরে রুটি বানানো হয় না।

শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, দেবী লক্ষ্মী সংক্রান্ত উৎসবে-পূজায় বাড়িতে রুটি বানাতে নেই। এই উৎসবগুলির মধ্যে একটি হল দীপাবলি। দীপাবলির দিনে আপনি সাত্ত্বিক খাবার, পুরি এবং মিষ্টি খেতে পারেন। তবে এই দিনে বাড়িতে রুটি বানানো-সেঁকা এড়িয়ে চলা উচিত।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Advertisement