Do not do these Work after Dinner: আগে ছিল একান্নবর্তী পরিবার। একটা সময়ে গোটা পরিবার খেতে বসত। খাওয়ার পর বাড়ির শিশুরা চলে যেত ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কাছে। রামায়ণ-মহাভারতের কথা শিশুদের শোনাতেন প্রবীণরা। সেই সব গল্পের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হত বাড়ির সন্তানরা। এখন সেই পরিবার আর নেই। ভাঙতে ভাঙতে ছোট হয়ে গিয়েছে। পরিবার এখন তিন বা বড়জোর ৫ সদস্যের। নৈতিক শিক্ষার পাঠ নেই। আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে বর্তমান প্রজন্ম। আর সেই আধুনিকতাই ডেকে আনছে বিপদ। মঙ্গল-অমঙ্গলের জ্ঞান থাকছে না। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে পরিবারকে।
আধুনিক জীবনযাপনে প্রায়ই দেখা যায়, তরুণ দম্পতিরা রাতের খাবার দেরিতে খান। খাবার খেয়ে অনেক রাতে ঘুমোতো যাওয়া। তার পর সকালে উঠে শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া, অফিস যাওয়া। তার আগে শিশুকে স্কুলের জন্য সাজিয়ে-গুছিয়ে দেওয়া। আর এই তাড়াহুড়োতে অনেক ভুল করে ফেলেন। কী রকম?
- বেশি রাতে খাওয়া, আর সকালে ওঠা- তার জেরে তাড়াহুড়ো করে রাতে ঘুমোন বহু মানুষ। রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। রাতভর অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থেকে যায় রান্নাঘর। এমনটা করবেন না। যত দেরিই হোক না কেন রান্নাঘর সাফ করবেন।
-খাবার খাওয়ার পরে প্রায়শই রাতে রান্নাঘরের নোংরা বাসন ফেলে রাখেন বহু মানুষ। এটা কখনও করা উচিত নয়। অনেকের বাসন মাজতে সমস্যা হয়। সকালে গৃহপরিচারিকা এসে মেজে দেন। সেক্ষেত্রে থালা-বাসন ধোয়ার জায়গায় রেখে দিন। সেখানে জল ঢেলে রাখুন।
-বাসনপত্র সরানোর পর যেখানে গ্যাসের ওভেন থাকে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করুন রাতেই। গ্যাসের ওভেনে যেন এঁটো-কাঁটা বা তরকারি লেগে না থাকে। রাতের বেলায় ঘুমোনোর আগে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখলে মেলে মা লক্ষ্মীর কৃপা।
-দিনে প্রথমবার যখনই টিফিন বা খাবার তৈরির জন্য গ্যাসে জ্বালানো হয়, তখন মনে মনে মা অন্নপূর্ণাকে স্মরণ করুন। লোকবিশ্বাস, অন্নপূর্ণার আশিস থাকলে রান্নাঘরে খাবারের অভাব হয় না। সুস্বাদু হয় রান্নাও।
আরও পড়ুন- ব্যান্ড নয় বন্ধুর হাতে বাঁধুন এই জিনিস, আজীবন অটুট থাকবে সম্পর্ক