১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে করোনা আবহে দেশে বাজেট পেশ হবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকরা কর ছাড়ে বেশ কিছুটা সুবিধা পেতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সরকারের কঠোর রাজস্ব অবস্থানের কারণে আসন্ন বাজেটে বড় করে ছাড় পাওয়া যদিও অসম্ভব। তবে সরকার ব্যয়কে পুনরুদ্ধার হচ্ছে তা দেখাতে কর ছাড়ের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন দেখাতে পারে।
সরকার দেশের নাগরিকদের করের ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কিনা তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেনি। তবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন যে এর আগে “আগে কখনও নয় হয়নি” এমন বাজেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। অতএব এই বাজেটে প্রত্যাশা বেশি তা বলাই বাহুল্য। আসন্ন বাজেটে সরকার তার ব্যয় বেশি রাখবে, এবং এর একটি বড় অংশ চাহিদা বাড়ানোর দিকে যাবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আপনি কোন করের সুবিধা আশা করতে পারেন?
স্বাস্থ্য বীমা এবং আবাসন ঋণ প্রদানের জন্য বর্ধিত ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সরকার আগামী বাজেটে এলটিসি নগদ ভাউচার প্রকল্পটিও নতুন করে বৃদ্ধি করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় এক সরকারি আধিকারিক জানান, “এই বিষয়ে প্রস্তাবগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। উপরোক্ত কয়েকটি বিকল্পে প্রত্যক্ষ ট্যাক্স টাস্ক ফোর্স (ডিটিটিএফ) নজর দিচ্ছে।"
এও বলা হয় যে এই সব পদক্ষেপ অর্থনীতিকে আরও বাড়াতে সহায়তা করবে কিনা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আয়কর বিধি পর্যালোচনা করতে সরকার গঠিত ডিটিটিএফ এর আগে করের স্ল্যাব বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।