লাগাতার পড়ছে টাকা। সেই সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও। এমতাবস্থায় শুক্রবার একাধিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সোনার চাহিদায় লাগাম টানতে বাড়ানো হল আমদানি শুল্ক। এর পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেল এবং বিমানের জ্বালানিতে বাড়ানো হল রফতানি শুল্ক। ফলে দেশে সোনার দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকার সোনা আমদানির উপরে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ১২.৫ শতাংশ করেছে। যা আগে ছিল ৭.৫ শতাংশ। বিশ্ববাজারে সোনা আমদানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ঘরোয়া চাহিদা পূরণের জন্য সোনা আমদানি করতে হয় দেশকে। কাঁচা তেলের পর আমদানি খাতে সোনাই দ্বিতীয় সর্বাধিক পণ্য। সরকার চাইছে, সোনা আমদানি কমাতে। সোনার দাম বাড়লে কমবে চাহিদা। এতে টাকার অবমূল্যায়ন রুখে দেওয়া যাবে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল অনুসারে, গত বছর থেকে সোনার চাহিদায় ব্যাপক তেজি দেখা গিয়েছে। অতিমারিকালে চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছিল। পরে সোনা কেনার হিড়িক পড়ে। ভারতে সোনা শুধু গয়না হিসেবে পড়া হয় না। নানা উৎসবে শুভ বলেও মনে করা হয়। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে সোনা ছাড়া চলে না। সে কারণে বিয়ের মরসুমে সোনার চাহিদাও ব্যাপক বাড়ে। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, এক দশকে সবচেয়ে বেশি সোনা আমদানি করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেল ও বিমানের জ্বালানির উপরে রফতানি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। পেট্রোল ও বিমানের জ্বালানিতে প্রতি লিটারে ৬ টাকা শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। লিটারে ১৩ টাকা শুল্ক বেড়েছে ডিজেলে। ঘরোয়া অপরিশোধিত তেলে প্রতি টনে ২৩,২৩০ টাকা অতিরিক্ত কর চাপানোর ঘোষণাও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- Jio থেকে সরলেন মুকেশ অম্বানি, ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা