দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। কবে ভোট ঘোষণা করা হবে, এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এই আবহে রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ৫ মার্চ পর্যন্ত থাকবেন তাঁরা। রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এই সফর বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার কমিশন সূত্রে খবর, ১৩ মার্চের পর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে কমিশন। এ বার বাংলাতেও আসছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে কমিশন। সিইও-রা সমস্যার ক্ষেত্রগুলি তালিকাভুক্ত করেছেন। ইভিএম, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা, সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনয দিকে, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।
রাজ্যে যে সময় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা আসছেন, সেই সময় বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্চের প্রথম দিনই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। পর পর ৩টি সভা করার কথা মোদীর। সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজনীতির ময়দান। এই আবহে বাংলায় মোদীর সফর আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। মোদীর সফর কবে, কোথায়? ১ মার্চ আরামবাগে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। পরের দিন, অর্থাৎ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন মোদী। এর পর ৬ মার্চ বারাসতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ৬ তারিখ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, সন্দেশখালির মানুষ চাইলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
সন্দেশখালিকাণ্ডে সরগরম জাতীয় রাজনীতিও। গত দেড় মাস ধর উত্তপ্ত রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এই আবহে বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাই চ্যালেঞ্জ কমিশনের।