কেষ্টহীন বীরভূমে ভোটের মুখে আবার দায়িত্বে ফিরলেন কাজল শেখ। বীরভূমে তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক ৫ সদস্যের তৃণমূলের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই কমিটিতে এতদিন ছিলেন না কাজল শেখ। যদিও এখন মমতার নির্দেশেই আবার কোর কমিটিতে জায়গা পেলেন কাজল।
মঙ্গলবার বীরভূমের তারাপীঠে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই তিনি কোর কমিটিতে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজলকে রাখার নির্দেশ দেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপরই আশিস জানিয়েছেন যে কোর কমিটিতে কাজলকে নেওয়া হয়েছে।
বীরভূমের রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কাজল শেখের কোনওদিন সখ্যতা ছিল না সেই ভাবে। বরং দুজনের মধ্যে নানা বিষয়ে ঝামেলা লেগেই থাকত। কেষ্টর জেলযাত্রার পর বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাশ হাতে নেন কাজল শেখ। জেলার শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। যা নিয়ে আবার মমতার কাছে অভিযোগ করেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা।
গত মার্চ মাসে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে বীরভূমের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে কাজলকে এনিয়ে ধমকও দেন দলনেত্রী। তাঁকে কোর কমিটিতে রাখাও হয়নি। কোর কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ। বোলপুর ও বীরভূম কেন্দ্রের জন্য় আলাদা নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছিলেন তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যরা। বোলপুর কেন্দ্রের নির্বাচন কমিটিতে নাম থাকলেও, বীরভূমের কমিটি থেকে বাদ পড়েছিলেন কাজল শেখ। এখন কাজল ঢোকাতে কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৬।
কাজল শেখ নতুন দায়িত্ব পেয়ে বলেন, 'আমি মা মাটি মানুষের সৈনিক। দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে পালন করেছি। আজ দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূমে ভাল ফল করেছে দল। লোকসভাতেও করবে।'