লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2024) দোরগোড়ায়। কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোটের দিন ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে কমিশন। দেশজুড়ে ৩.৪ লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বণ্টন নিয়ে বৈঠক
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লার সঙ্গে বৈঠক করবেন দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সহ কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আজ অর্থাত্ শুক্রবারই উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক হচ্ছে। মূলত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বণ্টন কোথায়, কতটা হবে, কোন রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে, তা নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে।
বাংলায় জেলায় জেলায় চলছে বাহিনীর রুটমার্চ
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। জেলায় জেলায় চলছে রুটমার্চ। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছিল, ভোট ঘোষণার আগেই কেন বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বলেন,'কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যেই গিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। এটি স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস। আগে থেকে পাঠানো হয়েছে। গোটা দেশে যত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তার মাত্র ১০ শতাংশ এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। সব জায়গায় যাওয়া ওদের কাজ। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই থাকবে। কেন্দ্রীয় কোথায় বেশি মোয়াতেন করা উচিত, কোথায় কম, তার সিদ্ধান্তও রাজ্য পুলিশ, কমিশনের অবজার্ভার ও আমাদের নোডাল অফিসার, তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।'
দেশজুড়ে ৩.৪ লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন
এবার জম্মু-কাশ্মীরেও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। কমিশন দেশজুড়ে ৩.৪ লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি ৪টি কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনও রয়েছে। দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। গোটা দেশে ১২.৫ লক্ষ পোলিং স্টেশন তৈরি করছে কমিশন। একই সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গেও পৃথক ভাবে বৈঠক করছে কমিশন। কারণ, ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে বড় ভূমিকা থাকে রেলেরও।
বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে বৃহস্পতিবারই বিজেপি-কে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'পাঠিয়ে দিয়েছে। সব স্কুল, কলেজ ছেড়ে দাও। হাসপাতাল ছেড়ে দাও, সব স্টেডিয়াম ছেড়ে দাও। বাবুরা এখন ঘুরে ঘুরে বিজেপি করে বেড়াবে।'