আজ তৃণমূলের জনগর্জন সভা (TMC Brigade Rally)। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বাংলার শাসকদলের এই সভা ঘিরে মানুষের ঢল। সভায় রয়েছেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। দু’দিন আগে থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা কলকাতায় এসেছেন।
দার্জিলিং: গোপাল লামা
আলিপুরদুয়ার: প্রকাশ চিক বরাইক
কোচবিহার: জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া
জলপাইগুড়ি: নির্মলচন্দ্র রায়
বালুরঘাট: বিপ্লব মিত্র
রায়গঞ্জ: কৃষ্ণ কল্যাণী
মালদহ উত্তর: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদহ দক্ষিণ: শানওয়াজ আলি রহমান
মুর্শিদাবাদ: আবু তাহের খান
জঙ্গিপুর: খলিলুর রহমান
বহরমপুর: ইউসুফ পাঠান
কৃষ্ণনগর: মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট: মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ: বিশ্বজিৎ দাস
বসিরহাট: হাজি নুরুল ইসলাম
বারাসত: ডঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার
বারাকপুর: পার্থ ভৌমিক
দমদম: সৌগত রায়
হাওড়া: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
উলুবেড়িয়া: সাজদা আহমেদ
হুগলি: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ: মিতালী বাগ
শ্রীরামপুর: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা উত্তর: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা দক্ষিণ: মালা রায়
যাদবপুর: সায়নী ঘোষ
ডায়মন্ড হারবার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
জয়নগর: প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর: বাপি হালদার
তমলুক: দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি: উত্তম বারিক
মেদিনীপুর: জুন মালিয়া
ঘাটাল: দেব
বীরভূম: শতাব্দী রায়
বোলপুর: অসিত মাল
বাঁকুড়া: অরূপ চক্রবর্তী
বিষ্ণুপুর: সুজাতা খাঁ
পুরুলিয়া: শান্তিরাম মাহাতো
ঝাড়গ্রাম: কালীপদ সোরেন
বর্ধমান পূর্ব: ডঃ শর্মিলা সরকার
বর্ধমান দুর্গাপুর: কীর্তি আজাদ
আসানসোল: শত্রুঘ্ন সিনহা
ডায়মণ্ড হারবার- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
উত্তর কলকাতা- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
দক্ষিণ কলকাতা- মালা রায়
শ্রীরামপুর- কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি- রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
কাঁথি- উত্তম বারিক
তমলুক- দেবাংশু ভট্টাচার্য
ঘাটাল- দীপক অধিকারী (দেব)
ঝাড়গ্রাম- কালীপদ সারেন
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
পুরুলিয়া- শান্তিরাম মাহাতো
বাঁকুড়া- অরূপ চক্রবর্তী
বর্ধমান পূর্ব- চিকিৎসক শর্মিলা সরকার
বর্ধমান দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ
আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা
বোলপুর- অসিতকুমার মাল
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বিষ্ণুপুর- সুজাতা খাঁ
বহরমপুর- ইউসুফ পাঠান
মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান
জঙ্গিপুর- খলিলুর রহমান
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ- বিশ্বজিৎ দাস
বারাকপুর- পার্থ ভৌমিক
দমদম- সৌগত রায়
বারাসত- কাকলি ঘোষ দস্তিদার
বসিরহাট- হাজি নুরুল ইসলাম
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
কোচবিহার- জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার- প্রকাশসিং বরাই
জলপাইগুড়ি- নির্মলচন্দ্র রায়
দার্জিলিং- গোপাল লামা
রায়গঞ্জ- কৃষ্ণকল্যাণী
বালুরঘাট- বিপ্লব মিত্র
মালদা উত্তর- প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা দক্ষিণ- শাহনাওয়াজ আলি রেহান
'যাঁদের কথার দাম নেই, তাঁদের আবার কীসের গ্যারান্টি। ভোট এলেই ১০০ টাকা গ্যাসের দাম কমানো হয়। ১০০ দিনের কাজ হল সংবিধানের গ্যারান্টি, মোদি কীসের গ্যারান্টি দিচ্ছেন? ৫৯ লক্ষ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি মোদি সরকার। না দিয়েই বলছেন, খেয়ে ফেলেছে। আমাদের টাকা আমাদেরই দিচ্ছে না', জনগর্জন সভা থেকে কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা
মমতা বললেন, ৪২ জন লোকসভা প্রার্থীকে নিয়ে র্যাম্পে হাঁটব। এ জিনিস আগে কখনও আপনারা দেখেননি। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলকে স্যালুট জানাই এই মঞ্চ থেকে। কারণ উনি বাংলার উপর হওয়া ভোট নিয়ে অবিচার মেনে নিতে পারেননি।
ব্রিগেডের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি প্রসঙ্গে আক্রমণ অভিষেকের। বললেন, “আমি বিচারপতি নিয়ে কিচ্ছু বলব না। শুধু বলব আগে আমাদের দেশে কেউ চুরি করলে বা খুন করে বিচারপতিরা তাঁদের জেলে পাঠাতেন। আজ মোদীজির ভারতে চোরেরা, খুনিরা বিচারপতিদের উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে জবাব দিন।”
অভিষেক বললেন, “আগে চোর চুরি করে জেলে যেত, এখন চুরি করে বিজেপিতে যায়। এটাই মোদীর গ্যারান্টি। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এ কথা বলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ১৫ লক্ষ টাকা দেননি কাউকে, মোদীর জিরো গ্যারান্টি। আর একজন টালির চাল থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন। ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও আজও সেই টালির চালে থেকে, হাওয়াই চপ্পল পরে ১০ কোটি মানুষের উন্নয়নের ধারা পরিচালনা করছেন। আপনি কার গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করেন?”
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বাংলাকে গালি দেওয়ায় কাউকে বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে, কাউকে বিধায়ক থেকে সাংসদ পদে উন্নীত করা হয়েছে। একজন অভিনেতা বিভিন্নভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তাঁর কাজের মধ্যে, তাঁকে আসানসোলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। পরে তিনি নিজেই বলেছেন, প্রার্থী হব না। এটাই বাংলার ক্ষমতা, বাংলার শক্তি।”
ব্রিগেডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। মঞ্চ থেকেই জনতার উদ্দেশে বার্তা। মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখিয়ে দিলেন লড়াইয়ের বার্তা। ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’, কর্মসূচি ঘোষণা অভিষেকের। বললেন, “তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখে। নবজোয়ারের সময় বলেছিলাম, আপনি ১০০ দিনের টাকাকে সামনে রেখে ভোট দিন, টাকা আপনারা পাবেন। মানুষ ভোট দিয়েছেন। ৬ মাসের মধ্যে ১০০ দিনের টাকার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আজ যে কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করতে চলেছি, তার নাম জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।”
এখনও মণিপুরে যাননি কেন? মঞ্চ থেকে মোদীকে প্রশ্ন ফিরহাদের। নারীদের সম্মান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন। আমার বিরুদ্ধে কেস বেআইনি।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ কীর্তি আজাদের।
উত্তর প্রদেশ, মেঘালয় ও অসমের মোট চার প্রার্থীর নামও এ দিন ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর প্রদেশ ও মেঘালয় থেকে ১ জন করে এবং অসম থেকে ২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
ব্রিগেড সভামঞ্চে আর কিছু ক্ষণের মধ্যে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতা শুরু হবে। তার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
দর্শকাসনে থাকা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আরও বেশি জনসংযোগের লক্ষ্যেই ব্রিগেডে এই প্রথমবার দেখা মিলবে র্যাম্পের! যে ব়্যাম্পে হেঁটে মাঠমাঠে পৌঁছে যাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা ব্রিগেডে যাচ্ছেন। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু করে হাজরা কিংবা হাওড়া স্টেশন, একাধিক মিছিল এগোচ্ছে ব্রিগেডের দিকে।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকেই তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪২টি আসনেরই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।