বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, "তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম থেকে দুষ্কৃতি এনে এবং বোমা-গুলি মজুত করে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছেন। আমি এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিরুনি তল্লাশি করার আবেদন জানিয়েছি। আমরা প্রত্যেকেই চাই যে এখানে অবাধে ভোট হোক।"
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত ৪ এপ্রিল রবিবার সকালে গোগলা পঞ্চায়েতের মাধাইপুর গ্রামে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচারে বের হন বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।একই সময় এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটের প্রচার করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এক সময় দুই দলের কর্মীরা মুখোমুখি চলে আসেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সেইসময়, দুই দলের কর্মীরা মুখোমুখি চলে আসেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সেইসময়, দুই দলের কর্মীরাই একে অপরকে লক্ষ্য করে কটুক্তি করতে থাকেন। যার জেরে শুরু হয়ে যায় বচসা, যা হাতাহাতি পর্যন্ত। এরপর থেকেই তিনি তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি আজ জিতেন্দ্র তিওয়ারি দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকেও একহাত নিলেন। তাঁর কথায়, "ও আমার কাছে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য আটবার ফোন করেছিল। বিজেপি যেহেতু টিকিট দেয়নি, সেকারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে বিধায়ক নয়, কাউন্সিলরকেই টিকিট দেওয়া হবে। ওর জন্য ওর দলের লোকেরা কি আদৌ খাটছে? শুধুমাত্র ঘুরে ঘুরে ছবি তুলে বেড়াচ্ছে। ও এবার হারবে। এবার ওকে কেউ ভোট দেবে না।"
তিনি আরও যোগ করেন, ধর্মের নামে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে মেরুকরণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। জামা মসজিদের ইমাম ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক বিশেষ সম্প্রদায়ের এলাকায় ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন। আর তাতেই নাকি নির্বাচনের বিধিভঙ্গ হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বললেন, "মিরাজ খান নামে একটি লোক একতি বিশেষ সম্প্রদায়ের মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এটা কি কখনও মেনে নেওয়া সম্ভব? সে যেই হোক না কেন, মন্দিরের পুজোয় বাধা দিতে গেলে, তার কপালে দুঃখ আছে।"
সবশেষে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এও স্পষ্ট করে দেন যে আগামী ২ মে যদি তৃণমূল কংগ্রেস জিতে আবারও ক্ষমতায় আসে, তাহলে তিনি আর জোড়া ফুল চিহ্নের দিকে পা বাড়াবেন না। তিনি বলেন, "আমরা সংখ্যালঘু বিরোধী নই। তবে ভারতমাতা কী জয় বলতে হবে, পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা চলবে না।"