আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ককে টার্গিটে করেছে বিজেপি। রাজ্য সফরে এসে জেপি নাড্ডা , অমিত শাহরা আদিবাসী পরিবারে নিয়মিত সারছেন মধ্যাহ্নভোজন। এই আবহে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জনজাতির ভোটব্যাঙ্কের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রীও। এরআগে পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য এসসি,এসটি,ওবিসি সেল গঠন করেছিল তৃণমূল। এবার সেই সেলকে ভেঙে তিনটি পৃথক সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এসসি সেল এবং এসটি সেল গঠনের কছা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ওসিবি সেলের কথাও ঘোষণা করা হতে চলেছে।
রাজ্যের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের দিকে বিশেষ নজর দিতেই পূর্বে গঠিত এসসি,এসটি,ওবিসি সেলকে ভেঙে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে রাজবংশি, মতুয়া এবং নমশূদ্রদের প্রতি সেলের সদস্যদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। দলে এই সম্প্রদায়ের সক্রিয় নেতাদেরও বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য বসে নেই বিরোধীরাও। তাদের পাল্টা দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সেটা ফিরে পেতে গত ডিসেম্বরে বনগাঁয় গিয়ে মতুয়াদের উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়াদের বহুদিনের দাবি ছিল শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা, সেই দাবিও পূরণ করেছেন মমতা। রানাঘাটের হবিবপুরের সভা থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাসাবাণী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ভোটারদের ৪০ শতাংশ তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া(ওবিসি) সম্প্রদায়ভুক্ত। এই অংশকে কাছে পেতেই নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।একদিকে আদিবাসী অন্যদিকে মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে পেতে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছে পদ্মশিবির। এমনকি জানুয়ারির শেষে রাজ্যে এসে ঠাকুরনগরে যাচ্ছেন স্বয়ং অমিত শাহ। তবে আদিবাসী ভোটকে ধরে রাখতে বিধানসভা ভোটের আগেই বাজেটে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিয়েছিলেন মমতা। যার মধ্যে একটি তফসিলি জাতির জন্য বন্ধু প্রকল্প। আরেকটি জয় জহার প্রল্প। যার মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার কথা চার লক্ষ আদিবাসী ও তফসিলি উপজাতির সম্প্রদায়ের।