নন্দীগ্রামে (Nandigram) শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা। সভা সেরে ফেরার পথে হামলা হয় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয় ও গাড়িতে। যদিও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান। তবে ঘটনার সময় আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। আক্রমণ চালানো হয় আজতকের ক্যামেরা পার্সনের ওপরে। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা।
সোমবার নন্দীগ্রামের বেশ কিছু জায়গায় কর্মসূচি ছিল বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। আশুদতলিয়াতে সভা সেরে ফেরার পথে আচমকাই তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি বাঁশ নিয়ে হামলা চালায় একদল মানুষ। সঙ্গে চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ। দেখানো হয় কালো পতাকা। যদিও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেন। এরপর কনভয়ের পিছনে থাকা সংবাদমাধ্যমের ওপরে হামলা চালানো। সেই সময়েই আজতকের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্যদিকে এদিন নন্দীগ্রামে একাধিক সভা ছিল তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee)। নাম না করে শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে মমতা বলেন, "নন্দীগ্রামের আন্দোলনে ওই বাপ - ব্যাটাকে দেখা যায়নি। এখন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কেস দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। সবার বিরুদ্ধে সিপিএম কেস দিয়েছিল। এই গদ্দারবাবুর বিরুদ্ধে সিপিএম কেস দেয়নি। কারণ পুলিশকে এই গদ্দারবাবুই ডেকে নিয়ে এসেছিল। সে দিন সিপিএম গুলি চালিয়েছিল। আজকেও তাই করেছে। বাজার থেকে পুলিশের ড্রেস কিনেছে। কয়েকটা গেস্টহাউসে বিজেপির ক্যাডারদের কাছে গিয়ে দিয়ে এসেছে। তাদের বিহার - উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সাজাবে। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলছে বিজেপিকে ভোট দাও।" মমতা আরও বলেন, "পাঙ্গা নেবে? আমি বহিরাতগত? আর তুমি আগত? কটা বাড়ি তোর? আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি এখানকার আন্দোলনকে সম্মান জানাতে।" এর পাল্টা হিসাবে এদিন শুভেন্দু বলেন, "আমি স্থানীয় ছেলে, এখানেই ছিলাম থাকব। বাকি যাঁরা উড়ে এসেছেন তাঁরা উড়ে চলে যাবেন।"