scorecardresearch
 

মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর! 'এক জায়গায় বলেছিলাম, দু'জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন কেন?'

নন্দীগ্রাম থেকে ফের একবার তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমি সংকীর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। কিন্তু পশ্চিমঙ্গে এর অভাব আছে। এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবসে অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম শুনে বলেছেন, ওনাকে নাকি অপমান করা হয়েছে। জয় শ্রী রামে মতো পবিত্র শব্দ হতে পারে না। ভগবান রামচন্দ্র মহারাজ তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যের পূজারি। আমরা তাকে ভগবান হিসাবে মানি। রাম নবমী পালন করি।

Advertisement
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
হাইলাইটস
  • তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
  • একাধিক ইস্যুতে খোঁচা
  • নন্দীগ্রাম থেকে নিশানা

নন্দীগ্রাম থেকে ফের একবার তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমি সংকীর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। কিন্তু পশ্চিমঙ্গে এর অভাব আছে। এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবসে অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম শুনে বলেছেন, ওনাকে নাকি অপমান করা হয়েছে। জয় শ্রী রামে মতো পবিত্র শব্দ হতে পারে না। ভগবান রামচন্দ্র মহারাজ তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যের পূজারি। আমরা তাকে ভগবান হিসাবে মানি। রাম নবমী পালন করি। রামরাজ্য  মানে শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান জৈন সকলের। রামরাজ্য মানে দুবেলা সবাই খাবে, মানুষ সুখে থাকবে, বেকাররা খেতে পারবে এসবই।

তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, কিন্তু আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জয় শ্রী রাম শুনলেই রেগে যাচ্ছেন, আর ওনার ভাইপো তোলাবাজ শুনলেই রেগে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমি অপমানিত হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি দেখেছি সমস্ত মন্ত্রী ও নেতারা হচ্ছে ল্যাম্পপোস্ট আর একটাই পোস্ট। তিনি যা বলবেন সারাদিন সেটাই সবাইকে মেনে চলতে হবে। কিন্তু আমার মেরুদণ্ড সোজা, আমি এটা মেনে নিতে পারব। তাই তৃণমূল যখন কোম্পানি হয়ে গেল তখন আমি আর থাকতে পারলাম না। আমি তখন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিজেপির খাতায় নাম লেখালাম। আর অমিত শাহ মেদিনীপুরে এসে আমাকে গ্রহণ করলেন, এর থেকে বড়প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না। 

আরও পড়ুন, লক্ষ্য মমতার পরিবার, কালীঘাটে শুভেন্দুর 'পদ্মফুল' কি কার্তিক ?

শাসকদলকে আক্রমণ

শুভেন্দু বলেন, আগে আপনারা দেখেছেন লকডাউনে চালচুরি, ত্রিপুল চুরি। লকডাউনে চাল চোর, আম্ফানে ত্রিপল চোর, এখন হয়েছে করোনার টিকা চোর। কেউ করোনার টিকা কেউ পায়নি। কিন্তু একজন বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়ক চুরি করে টিকা নিয়েছেন। আমার বাড়ির কাছে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিকা নিয়েছেন। গতকাল এদের নেত্রী পুশকুড়াতে গিয়ে বিজেপির স্লোগান চুরি করেছে। এখন কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে বললে হবে না, এখন ওদের বলতে হবে হরি বোল। আর উপায় নেই,নৌকা ফুটো হয়ে গেছে, জল ঢুকছে বাঁচানোর কোনও উপায় নেই।  

শুভেন্দুর নিশানায় তৃণমূল

তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, আমি বলেছিলাম লাল চুল কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। মাননীয় এসেছিলেন তেখালি সেখানে হায়দ্রাবাদের একটি পার্টি আছে, তার সভা হয়েছিল।  নন্দীগ্রামের সভা ওটা হয়নি। উনি শেষ এসেছিলেন ২০১৫ সালে।  উনি প্রথম বললেন দাঁড়াবেন, পরে বললেন ভাবছি। ভাবছে হাততালি মানে সব ভোট পাবে।  শেষে বলল আমি কিন্তু দুটো জায়গা দাঁড়াবে। আরও অনেক কিছু বলবে। আজকে আবার বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। দুটো জায়গা কেন দাঁড়াচ্ছেন আপনি, আমি তো বলেছিলাম আপনাকে একটা জায়গাতে দাঁড়াতে হবে, সেটা নন্দীগ্রামে। আমরা প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য। এবারের নির্বাচনে সিআরপিএফ আসবে। 

Advertisement

Advertisement