scorecardresearch
 

West Bengal Election Result : BJP-র থেকে মুখ ফিরিয়েছে জঙ্গলমহল, কিন্তু কেন?

পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) মাত্র ২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। সেগুলি হল ঘাটাল ও খড়গপুর সদর। এছাড়া বাকি সবই গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) দখলে। তারমধ্যে রয়েছে গড়বেতা, গোয়ালতোড়, মেদিনীপুর সদর, শালবনী, কেশিয়াড়ির মতো জঙ্গলমহল এলাকার অন্তর্গত আসনগুলি।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • জঙ্গলমহলে ভাল ফল হয়নি বিজেপির
  • বেশিরভাগ আসনই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে
  • কিন্তু কেন এই বিপর্যয়?

গত লোকসভা ভোটে রাজ্যবাসীকে চমকে দেওয়ার মতো ফলাফল করেছিল বিজেপি (BJP)। তারপরেই বিজেপির তরফে স্লোগান ওঠে, '১৯শে হাফ ২১শে সাফ'। আর বিজেপির সেই সাফল্যের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল জঙ্গলমহলের। লোকসভা ভোটে সময় জঙ্গলমহলের (Junglemahal) ঢালাও আশীর্বাদ পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে বাড়তি গুরুত্বও দেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু দেখা যায় বিধানসভা ভোটে আর জঙ্গলমহলের সেই সমর্থন পেল না বিজেপি। 

ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) মাত্র ২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। সেগুলি হল ঘাটাল ও খড়গপুর সদর। এছাড়া বাকি সবই গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) দখলে। তারমধ্যে রয়েছে গড়বেতা, গোয়ালতোড়, মেদিনীপুর সদর, শালবনী, কেশিয়াড়ির মতো জঙ্গলমহল এলাকার অন্তর্গত আসনগুলি। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলারও সবকটি আসন দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিকে বাঁকুড়ায় (Bankura) ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি বিজেপি দখল করলেও, তালড্যাংড়া, রানিবাঁধ, রাইপুরের মতো জঙ্গলমহল এলাকার অন্তর্গত আসনগুলি গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। বাঁকুড়ায় মোট ৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় (Purulia) ৯টি আসনের মধ্যে ৬টি পেয়েছে বিজেপি। তারমধ্যে জঙ্গলমহলের অন্তর্গত শুধুমাত্র জয়পুর আসনেই ফুটেছে পদ্ম। জেলার বাকি ৩টি আসন গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। তারমধ্যে রয়েছে বাঘমুন্ডি ও বান্দোয়ানের মতো জঙ্গলমহল এলাকার আসনও। 

এখন প্রশ্ন উঠছে এটাই যে, লোকসভায় বিপুল সাফল্যের পর মাত্র ২ বছরের মধ্যে কেন এই বিপর্যয়? তবে কি রণনীতি নির্ধারণে কোথাও খামতি রয়ে গেল গেরুয়া নেতৃত্বের? এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সেটা এখনই বলা যাবে না। প্রার্থী নির্ধারণে ভুল থাকতে পারে, সংগঠনে ত্রুটি থাকতে পারে বা আমরা মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছতে পারিনি, সেটাও হতে পারে। এটা দলের মধ্যে আলোচনা করে দেখতে হবে।" তবে ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণের চেয়েও বর্তমানে রাজ্যে চলা হিংসার ঘটনায় অনেক বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সায়ন্তনবাবু। 

Advertisement

 

Advertisement