এবার কি বাম ব্রিগেডেও 'দমবন্ধ' উপসর্গ? দার্জিলিঙের সিপিআইএম নেতা শঙ্কর ঘোষ (Darjeeling CPIM leader Shankar Ghosh)-এর পদত্যাগের পর এই প্রশ্ন উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। তাই সিপিআইএম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং তুলে দিয়েছেন বেশি কিছু প্রশ্নও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতা একই অছিলায় দল ছেড়ে ভিড়েছেন বিজেপি। তা সে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা দীনশ ত্রিবেদী। একের পর এক নেতা ওই কারণ দেখিয়ে তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন। সেই প্রবণতা সিপিআইএম-এর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল?
দার্জিলিং জেলা সিপিআইএমে বড় ধাক্কা। দলত্যাগ করলেন বাম যুবনেতা শঙ্কর ঘোষ। তিনি দলের জেলা সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে সিপিআইএমে বড় ধাক্কা।দল ছাড়লেন দার্জিলিং জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তথা পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য শঙ্কর ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল।অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে তিনি জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
তারপর তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, একটানা ৩০ বছর ধরে আমি বাম রাজনীতি করে আসছি। কিন্তু বুকে যন্ত্রণা নিয়ে আমি দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। কারণ দলে থেকেও কাজ করতে পারছিলাম না। এমনকি দলে দু-একজনের কথাতেই সব হয়। তাই আমি বাধ্য হয়ে দল ছাড়ছি।
তিনি বলেন, আমি যাদের তৈরি করেছি, তাঁদের কিন্তু আমি বলিনি দল ছাড়তে। আমি একাই আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমি এখনও কোথাও যাচ্ছি না। আপাতত আমি কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে চাই। ভবিষ্যতে আমার কী পদক্ষেপ হবে, তা আমি নিশ্চয়ই জানাব সকলকে। শঙ্কর বলেন, অনেক কষ্ট নিয়ে আমি আমার প্রিয় দল ছাড়তে বাধ্য হলাম।
অন্যদিকে, এবিষয়ে জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, শঙ্করের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। ওঁর দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করব। আপাতত ও কিছু কাজের থেকে অব্যাহতি চেয়েছে।
তবে যাই হোক বাম শিবিরে বড় ধাক্কা শংকর ঘোষের পদত্যাগ। শুধু তাই নয়, আগামীতে বামে থাকা যুবরা কোন পথে যাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন থেকে গেল।