নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মাঝেই এবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টে (ISF) বড়সড় ভাঙন। ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন আইএসএফ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক কওসর আলি মল্লিক। হাজি মহম্মদ নামেই অবশ্য তিনি বেশি পরিচিত। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে হাজি মহম্মদ বলেন, "বিজেপিকে কবর দিতে, বাংলা থেকে উৎখাত করতে তৃণমূলে এলাম।" একই সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর কড়া সামলোচনাও করতে শোনা যায় হাজি মহম্মদকে। বিজেপিকে রুখতে ভোট ভাগ হতে দেওয়া চলবে না বলেই মনে করেন সদ্য প্রাক্তন এই আইএসএফ নেতা। এদিন হাদি মহম্মদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন আইএসএফের আরও ২ নেতা আবদুল মেনন এবং আবদুল মাহমুদ।
এদিকে এই আইএসএফ নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, "বাংলায় আইএসএফ বলে আর কিছু থাকলো না।" হাজি মহম্মদদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে ফিরহাদ বলেন, "আইএসএফ সিপিএমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সিপিএমের আশ্রয় নিয়েছেন কমরেড আব্বাস সিদ্দিকি। আর হাজি মহম্মদ মনে করেন, একমাত্র তৃণমূলই আছে, যারা বাংলায় বিজেপিকে রুখতে পারে। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলায় বিজেপির প্রবেশ আটকাতে পারবেন।"
অন্যদিক নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রেক্ষিতেও বিজেপিকে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। মৃত্যুর রাজনীতিকরণ করছে। যেখানে বাড়ির লোকেরা বলছেন পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা, সেখানে বিজেপি মৃত্যুর কাউন্টিং বাড়াচ্ছে। বাংলার মানুষ বোকা নন, যে বিজেপির মিথ্যা রটনা মেনে নেবেন।" এদিনই মৃত্যু হয়েছে নিমতার আক্রান্ত বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের। একমাস আগে আক্রান্ত হন তিনি। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, শোভারানি মজুমদারের ছেলে বিজেপি করেন বলে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।