scorecardresearch
 

সরকারি অফিসে হাজিরা ৫০ শতাংশ, মালদায় জানালেন মমতা

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন মালদাতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ নিয়ে আসা হয়েছে। আতঙ্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যে বর্তমান ভ্যাকসিন ঘাটতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা

Advertisement
হাইলাইটস
  • সরকারি অফিসে হাজিরা ৫০ শতাংশ
  • মালদায় জানালেন মমতা
  • এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন মালদাতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ নিয়ে আসা হয়েছে। আতঙ্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যে বর্তমান ভ্যাকসিন ঘাটতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা।

সাংবাদিক বৈঠক মমতার

মমতা বলেন, এটায় আতঙ্কের জায়গায় না গিয়ে কাউকে ভয় দেখাবেন না। আমি এই সাংবাদিক বৈঠকে কোন রাজনৈতিক কথা বলবো না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি  এই সাংবাদিক বৈঠক করছি। শেষ দুই দফার নির্বাচনে একসঙ্গে করা যায়। আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তবে এটা তাদের ব্যাপার। কত  লোক সভা করতে আসছে বাইরে থেকে। তারা অন্যদের নিয়ে আসে বাইরে থেকে। প্রধানমন্ত্রী সভা বানানোর কাজ বাইরে থেকে করতে লোক আসে। 

 মমতা বলেন, বিহারে ৩টে দফা হয়েছে। কিন্তু বাংলাতে ৮টা দফা হয়েছে। ভার্চুয়াল আমরা করতে পারি। আগের থেকে এসব প্ল্যান করা উচিত ছিল। আমি নিজেই সভা কাটছাট করছি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। একটা পুলিশের হওয়া মানেই প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও তাই। মাস্ক সবাই ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন, 'রাজ্যে ভ্যাকসিন নেই, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি,' বললেন মমতা

মমতা বলেন, ওয়ার্ক ফর্ম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। সবার ছোট ছোট সভা করা উচিত। যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না। রাজ্যে ভ্যাকসিন নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আমি টাকা নিয়ে বসে আছি। আমি চাই সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। ভ্যাকসিন আমাদের হাতে নেই। কেন্দ্রীয় সরকার বলে দেবে কার কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তার কাছ থেকেই আমাদের ভ্যাকসিন নিতে হবে। কিন্ত বাজারে ভ্যাকসিন নেই। অক্সিজেন, ওষুধের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করলে সমস্যা হবে। নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়।

Advertisement

ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ

মমতা বলেন, করোনা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৪ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ১০০টা হাসপাতাল তৈরি রাখা হয়েছে করোনার জন্য। রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড তৈরি হয়েছে। ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে আসা হয়েছে

মমতা বলেন, প্যানিক করবার কোনও কারণ নেই। এটা হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়েভ। আগেরবার আমরা সামলে নিয়েছিলাম। এবার গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে। আমাদের সমস্যা এবার প্রচুর লোক বাইরে থেকে আসছে। অনেকে ২ মাস ধরে আছে। কী আর বলব, ভোটের সময়ে হবেই। আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই।

Advertisement