scorecardresearch
 

'ভোটে না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেব,' হুঙ্কার তাপস চট্টোপাধ্যায়ের

রাজারহাটে-নিউটাউনে প্রার্থী হিসাবে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। প্রার্থী হয়েই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, ভোটে না জিততে পারলে দেহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেব।

Advertisement
তাপস চট্টোপাধ্যায় তাপস চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ভোটে না জিতলে দেহ পাঠিয়ে দেব
  • দাবি তাপস চট্টোপাধ্যায়ের
  • রাজারহাট-নিউটাউনের প্রার্থী তিনি

রাজারহাটে-নিউটাউনে প্রার্থী হিসাবে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। প্রার্থী হয়েই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, ভোটে না জিততে পারলে দেহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেব।

কী বললেন তাপস চট্টোপাধ্যায়

তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি দলের একজন প্রার্থী। আমি মাটির ছেলে। আমি সল্টলেকের বাসিন্দা নই। তবে এখানে আমি জন্মেছি এবং বড় হয়েছি। আমি এখানে সকলের সঙ্গে সরস্বতী পুজো, দুর্গাপুজো, ইদ ও মহরম পালন করেছি। বহিরাগতদের সঙ্গে এখানকার মানুষের লড়াই হবে এবারের ভোটে। গুজরাটের মানুষ বাংলা শাসন করবে না বাংলাই বাংলার শাসন করবে এটা নিয়ে মূল লড়াই। আমি এই আসনটা জিতেই রয়েছি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিল, যদি আসনটা না জিততে পারি, তাহলে দেহ পাঠিয়ে দেব। বিরোধীরা মনে রাখবে, তাপস চট্টোপাধ্যায় নিউটাউনের সব মানুষের সঙ্গে রয়েছে। 

আরও পড়ুন, জল্পনার অবসান! BJP-তে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী

সব্যসাচী বনাম তাপস

শুক্রবার ২৯১টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেখানে রাজারহাট নিউটাউন আসনটি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাপস চট্টোপাধ্যায়কে।  ২০১১ সালে তাপস চট্টোপাধ্যায় সিপিএমে টিকিটে এই আসনে লড়েন। কিন্তু তৃণমূলের সব্যসাচী দত্তের কাছে পরাজয় হয় তার। পরে তাপস তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সব্যসাচী দত্ত। এদিন সেই সব্যসাচীকেও ঘুরপথে হুঁশিয়ারি দেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।

তবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘিরে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে।  প্রচুর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ঘিরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে। এবারের নির্বাচনে একঝাঁক টলি তারকাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই ঘিরে ক্ষোভের দানা বেধেছে। ইতিমধ্যে রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তৃণমূল নেতারাই। ইতিমধ্যে আবার দল ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগও করে দিয়েছেন অনেকে। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক শিবিরে। 

Advertisement

Advertisement