অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নিয়ে এবার একটি দাবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এক ফেসবুক ব্যাবহারকারি দাবি করেছেন, "জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসামে মুসলিম এলাকায় সেনা অভিযান করার কথা ঘোষণা করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
একই দাবি সংক্রান্ত পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখতে পাবেন এখানে ও এখানে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমরা কি ওয়ার্ড সার্চ করে দেখি যে সত্যি সত্যিই অসমের মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনও কথা ঘোষণা করেছিলেন কিনা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো থেকে পরিষ্কার যে ফেসবুক পোস্টে যা দাবি করা হয়েছে তা অর্ধসত্য।
১৯শে জুলাই বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন যে সরকারের তরফ থেকে ১,০০০ জন যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে যারা রাজ্যের মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রচার চালাবেন। এই প্রচারকারি দলগুলোর পোশাকি নাম হবে "জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সেনা।" এছাড়া, প্রায় ১০,০০০ আশা কর্মীদেরও এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রচারের কাজে সামিল করা হবে।
সুতরাং, ফেসবুক পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য। হিমন্ত বিশ্বশর্মা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা অভিযানের কথা বলেননি। তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জনসখ্যা নিয়ন্ত্রণ সেনা গঠনের কথা বলেছেন।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসামে মুসলিম এলাকায় সেনা অভিযান করার কথা ঘোষণা করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা অভিযানের কথা বলেননি। তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ১০,০০০ যুবক যুবতীকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। এই প্রচারকারি দলগুলোর পোশাকি নাম জনসখ্যা নিয়ন্ত্রণ সেনা।