scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: আদানি বন্দরে ৩০০০ কেজি মাদক আটকের পরেও কি কোনও তদন্ত হয়নি?

সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, মুন্দ্রা বন্দরের ঘটনায় নাকি কোনও তদন্ত হচ্ছে না

Advertisement
মুন্দ্রা বন্দরে মাদক আটকের পরে কি কোনও তদন্ত হয়নি? মুন্দ্রা বন্দরে মাদক আটকের পরে কি কোনও তদন্ত হয়নি?

এবার শাহরুখ খানের ছেলেকে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হল।  

এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি পোস্ট করে লিখেছেন, "মাদক পার্টিতে ধৃত বলিউডের তারকা পুত্র, অপরাধ। কিন্তু আদানি পোর্টে যে ৩০০০ কেজি ড্রাগ পাওয়া গেল, সেখানে কোনও তদন্ত নেই।" 

এই একই দাবি-সহ পোস্টের আর্কাইভ দেখতে পাবেন এখানেএখানে

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর। 

তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে খোঁজ নিয়ে দেখি যে সত্যিই সেপ্টেম্বর মাসে গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ডিআরআই প্রায় ৩,০০০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল। ৩৮টি ব্যাগ ভর্তি ওই বাজেয়াপ্ত মাদকের বাজারের মূল্য দু'হাজার কোটি টাকারও বেশি।

Mundra Port

 

খবরে প্রকাশ, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থা এই মাদক আফগানিস্তান থেকে আমদানি করিয়েছিল।আমদানির সময়ে বলা হয়েছিল যে, ট্যালকম পাউডার আমদানি করা হচ্ছে।  

কিন্তু এই ঘটনায় কোনও তদন্ত হয়নি, এই দাবি সত্যি নয়।  

আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে পিআইবি-র একটি প্রেস রিলিজ খুঁজে পেয়েছি। ২২শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সেই প্রেস রিলিজে বলা হচ্ছে, বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।

PIB

দিল্লি, চেন্নাই, আহমেদাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্তকারি অফিসাররা অভিযান চালিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। এই আটজনের মধ্যে চারজন আফগান নাগরিক, তিনজন ভারতীয় ও একজন উজবেক নাগরিক শামিল রয়েছেন।

খবরের প্রকাশ, এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী অফিসাররা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁরা দিল্লিতেও অভিযান চালিয়েছেন।

Advertisement

এই ঘটনার পর আদানি পোর্টসের তরফ থেকেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির তরফে বলা হয়েছে, ১৫ নভেম্বর থেকে মুন্দ্রা বন্দরে ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলি থেকে আমদানি ও রপ্তানি করা হবে না।  

সুতরাং, এই পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য। 

ফ্যাক্ট চেক

A Facebook user

দাবি

আদানি পোর্টে যে ৩০০০ কেজি মাদক পাওয়া গেলেও সেখানে কোনও তদন্ত হয়নি।

ফলাফল

মুন্দ্রা বন্দরে ৩,০০০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করার পর তদন্তকারী অফিসাররা দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
A Facebook user
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement